জনশক্তি প্রেরণ খাত লকডাউনের আওতামুক্ত রাখার দাবি

ঢাকার সৌদি দূতাবাস, মেডিক্যাল ও ট্রেনিং সেন্টারগুলো এবং ফিংগার অফিসসহ জনশক্তি প্রেরণ খাতকে লকডাউনের আওতামুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছে জনশক্তি ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্যপরিষদ। গত সোমবার এ দাবিতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে সংগঠনটি। সংগঠনের সভাপতি এম টিপু সুলতান ও মহাসচিব আরিফুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর পরিপ্রেক্ষিতে চলমান কঠোর লকডাউন চলা অবস্থায় ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সচল রাখা এবং প্রবাসগামী কর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন (টিকা) প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তারা।
এই দুই জনশক্তি ব্যবসায়ী নেতা বলেন, কঠোর লকডাউনের মধ্যেও সরকার গার্মেন্ট তথা আরএমজি সেক্টর খুলে দিয়েছে। আমরা মনে করি, গার্র্মেন্ট তথা আরএমজি সেক্টরের চেয়েও জনশক্তি প্রেরণ খাত দেশ ও জাতির স্বার্থে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। বৈশ্বিক মহামারীর মধ্যেও রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে প্রেরিত, রেমিট্যান্স যোদ্ধারা গত অর্থবছরে ২৪ বিলিয়নের অধিক বৈদেশিক রেমিট্যান্স প্রেরণ করে দেশের অর্থনীতির চাকা সচলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। সুতরাং দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে, জনশক্তি প্রেরণ খাতকে লকডাউনের আওতামুক্ত রাখা একান্ত অপরিহার্য। তারা বলেন, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সচল থাকার পরে ও (টিকিট দেয়া ছাড়া) বিএমইটি ছাড়পত্র দেয়া বন্ধ রয়েছে। ট্রেনিং সেন্টার, জিসিসিভুক্ত মেডিক্যাল সেন্টার ও ঢাকার সৌদি দূতাবাস বন্ধ রয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সচল রাখার পরেও সমন্বয়ের অভাবে জনশক্তি রফতানি খাত ভীষণভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
চিঠিতে বলা হয়, বর্তমানে চলমান আছে একমাত্র সৌদি শ্রমবাজার। প্রায় লক্ষাধিক নতুন ভিসা ও ডিমান্ড রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর কাছে রয়েছে। হাজার হাজার ভিসাপ্রাপ্ত কর্মীর মেডিক্যালের মেয়াদউত্তীর্ণ হয়েছে। সৌদি শ্রমবাজারটিও এখন মারাত্মক হুমকির মধ্যে পড়েছে। কারণ সৌদি কোম্পানি ও নিয়োগ কর্তারা দ্রুত রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সৌদিতে পাঠানোর তাগিদ দিচ্ছেন। দ্র্রুত কর্মী পাঠাতে না পারলে তারা ভিসা ও ডিমান্ড বাতিল করার বিষয়টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে অবগত করছেন। এ অবস্থায় রেমিট্যান্স প্রবাহের ধারাবাহিকতা রক্ষায় জনশক্তি রফতানি খাতসংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি অফিস-দফতরগুলো লকডাউনের আওতাবহির্ভূত রেখে দ্রুত খুলে দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানিয়েছে রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্যপরিষদ।