২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পৌর কাউন্সিলর শিল্পীর মৃত্যুরহস্য উদঘাটন হয়নি ১২ বছরেও

-

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর (সংরক্ষিত) মোসাম্মৎ শিল্পী বেগমের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন হয়নি ১২ বছরেও। ২০০৮ সালে রহস্যজনক কারণে আগুনে পুড়ে মারা যান শিল্পী বেগম। কিন্তু কিভাবে তিনি অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন এ রহস্য আজো অজানা। এমনকি ওই সময় এ ঘটনায় থানায় মামলাও হয়নি। সম্প্রতি কাউন্সিলর শিল্পীর মৃত্যু নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত হলেও, তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
নিহতের পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভেদরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে (সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড) নির্বাচিত হন শিল্পী বেগম। তিনি ছিলেন ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান বেপারীর শ্যালিকা। শিল্পী প্রায়ই আব্দুল মান্নান বেপারীর বাড়িতে থাকতেন। এ নিয়ে মান্নান বেপারীর সংসারে কলহ চলছিল। ২০০৮ সালে ঘটনার দিন শিল্পী মান্নান বেপারীর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ করেই রাতে শিল্পী আগুনে পুড়ে মারা যান। কিন্তু কিভাবে আগুন লেগেছে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়া হয়। জানানো হয়, শিল্পী চুলার আগুনে পুড়ে মারা গেছেন। এমনকি থানা পুলিশকে না জানিয়ে শিল্পীর লাশ গোপনে দাফন করা হয়। পরবর্তীতে এ বিষয় জানাজানি হলেও পুলিশকে ম্যানেজ করে বিষয়টি চাপা দেয়া হয়।
এ দিকে পৌর কাউন্সিলর শিল্পীর মৃত্যু নিয়ে সম্প্রতি স্থানীয় এক ব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে। ভেদরগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো: আমিনুর রহমানের নেতৃত্বে বিষয়টি তদন্ত করা হয়। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদনে শিল্পীর মৃত্যু নিয়ে ভুল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো: আমিনুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে শিল্পী মারা গেছেন ১৯৯৬ সালে রাতে। অথচ শিল্পী মারা গেছেন ২০০৮ সালে। সে সময় তিনি পৌর কাউন্সিলর ছিলেন। প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, শিল্পী চুলার আগুনে পুড়ে মারা গেছেন। কিন্তু কিভাবে চুলা থেকে তিনি অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন তা উল্লেখ করা হয়নি।


আরো সংবাদ



premium cement