২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বেতাগীতে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে, তীব্র তাপদাহে অবর্ননীয় দুর্ভোগ

- ছবি: নয়া দিগন্ত

বরগুনার বেতাগীতে চলমান লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গ্রাহকদের দাবি, এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ দিলে, লোডশেডিংয়ে এক ঘণ্টা পরে বিদ্যুৎ আসে। এতে গরমে হাসপাতালে রোগীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সেবা প্রদানে চিকিৎসকদেরও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা কার্যক্রমে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। লোডশেডিংয়ে বেতাগী পৌর শহরের ব্যবসায়ীরাও বিপাকে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিভিন্নজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দিনে ১০-১২ ঘণ্টা লোডশেডিং থাকে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে শিশু ওয়ার্ডের সামনে মেঝেতে চিকিৎসা নেয়া রোগীদের হাতাপাখা দিয়ে বাতাস করতে দেখা যায় স্বজনদের। গরম অসহ্য যন্ত্রণায় রয়েছেন বলে জানিয়েছে রোগী ও তাদের স্বজনরা।

বেতাগী পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্র জানা গেছে, তাদের অধীনে বেতাগী উপজেলায় ৩৬ হাজার ৫০০ গ্রাহক রয়েছে। পিকআওয়ারে আট মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। কিন্তু পিক আওয়ারে মাত্র সাড়ে তিন মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়া হচ্ছে। এতে লোডশেডিং চরম আকার ধারণ করেছে।

বেতাগী পৌরসভার সরকারি কলেজ গেট এলাকার বাসিন্দা রেজাউল করিম ও মো: আল আমিন বলেন, শিশুদের নিয়ে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। রাতে ঠিকমতো ঘুমানো সম্ভব হয় না। শরীরে গামাছি উঠে বিপর্যয়ে ফেলেছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক না হলে এ তাপদাহে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়বে।

চিকিৎসা সেবা নিতে আসা একাধিক রোগীর স্বজন বলেন, চিকিৎসা ভালো হলেও প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন তারা। এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ দিলে এক থেকে দেড় ঘণ্টা আর বিদ্যুৎ আসে না। এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জেনারেটরে নেই। শিশুদের সুস্থতার জন্য এসে এখন তারা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

সবজি বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম নাসির বলেন, প্রতি ঘণ্টায় লোডশেডিং হয়। এতে দোকান অন্ধকার হয়ে পড়ে।

পৌর শহরের পোষাক বিক্রেতা মো: মনিরুজ্জামান বলেন, সামনে ঈদুল আযাহার দোকানে মালামাল ওঠানো হয়েছে। অন্ধকার দোকানে ক্রেতারা প্রবেশ করে না। আইপিএসের ব্যাটারিতে ঠিকমতো চার্জ হয় না। অসহনীয় গরমে দোকানে বসাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফাহমিদা লস্কর বলেন, ‘লোডশেডিং বেড়েছে। এতে রোগীদের পাশাপাশি আমাদেরও ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

বেতাগী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রকৌশলী বিমল সেন বলেন, ‘গ্রাহকদের চাহিদার চেয়ে বিদ্যুৎ কম সরবরাহ। এ কারণে লোডশেডিংয়ে বেড়েছে। আশা করি জাতীয় গ্রিড থেকে শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান করা হবে। এতে লোডশেডিং কমে আসবে।’


আরো সংবাদ



premium cement