৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


হাওরে এবার ৪১১০ কোটি টাকার ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা

নতুন ধানের ম ম সুগন্ধ
কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার দিয়ে হাওরের ধান কাটতে কৃষকরা ব্যস্ত : নয়া দিগন্ত -


সুনামগঞ্জের বিস্তীর্ণ হাওর অঞ্চলে এবার ধানের ব্যাপক ফলন হয়েছে। কৃষি বিভাগ ধারণা করছে, এ মৌসুমে হাওরে চার হাজার ১১০ কোটি টাকারও বেশি ধানের ফলন হবে। পুরো হাওরাঞ্চল জুড়ে কাঁচা-আধাপাকা ধানের ম ম গন্ধে কৃষক-কৃষাণীদের মুখে সোনাঝরা হাসি ফুটেছে। গত ক’দিন আগে কিছুটা ঝড়োবৃষ্টিতে শঙ্কিত ছিলেন কৃষকরা। এবার সেই শঙ্কা কেটে গিয়ে পুবাল হাওয়ায় সোনালি ধানের ঢেউয়ে সুবাস ছড়াচ্ছে চারদিকে। নতুন বছরে, নতুন আশা নিয়ে সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলায় আংশিক ধান কাটতে শুরু করেছেন কৃষকরা।
বছরে একটি মাত্র বোরো ফসলকে ঘিরেই হাওরাঞ্চলের মানুষের যত স্বপ্ন। বহু প্রত্যাশিত সোনালি ধান ঘরে তুলতে কৃষকরা ধান কাটতে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষাণীরাও ধান শুকানোর জন্য খলা প্রস্তুতের কাজ করছেন। সুনামগঞ্জের হাওরের প্রত্যন্ত গ্রামে গ্রামে ১০-১৫ বছর আগে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ধান কাটার জন্য আসত বিশাল শ্রমিক বাহিনী। আর এখন আগের মতো শ্রমিক না আসায় ধান কাটার জন্য শ্রমিক সঙ্কটে পড়তে হয়।

পাকনা হাওরের কৃষক আবু তাহের তালুকদার বলেন, এবার বহু কষ্টে দেনা করে ফসল ফলাইছি। আল্লাহর রহমতে ভালো ফলন হইছে। বিআর-২৮ ধান আংশিক কাটা শুরু হইছে। কৃষক কয়েছ মিয়া বলেন, সারা বছর কষ্ট করে দেনা করে ফসল ফলাইছি। ফলনও ভালো হইছে যদিও আগুল্লিয়ায় আংশিক চিটা হয়ে যাওয়ায় কিছুটা ক্ষতি হইছে।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জে ছোট-বড় ১৩৭টি হাওরে ২ লাখ ২৩ হাজার ৪০৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। প্রায় ১৩ লাখ ৭০ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম মুঠোফোনে বলেন, আগামী সপ্তাহেই পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে। বৈরী আবহাওয়া ও হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধের বিষয়ে কোনো সমস্যা না হলে খুব ভালো ফলনের আশা করছি এবার।

সুনামগঞ্জে বন্যা ও পাহাড়ি ঢল থেকে হাওরের ফসল রক্ষায় প্রতি বছর প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বেড়িবাঁধ সংস্কার ও নির্মাণ করে। চলতি বছরে জেলা সদর, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, ধর্মপাশা, মধ্যনগর, শান্তিগঞ্জ, দিরাই, শাল্লাসহ ১২ উপজেলায় ৭৩৫টি প্রকল্পে ৫৯১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে। এতে প্রকল্প ব্যয় ধরা ছিল ১৩০ কোটি টাকা। ১৫ ডিসেম্বরে (২০২৩) বাঁধের কাজ শুরু করে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ হয়নি।
সুনামগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেছেন, হাওরের একটিমাত্র বোরো ফসল যাতে কৃষকরা ভালোভাবে ঘরে তুলতে পারেন, সে জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে যা করা প্রয়োজন, আমরা তাই করবো। তবে হাওরে যেসব জমির ধান পেকে যাবে, ওই সব পাকা ধান দ্রুত কেটে ঘরে তোলার জন্য কৃষকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী ‘ইসলামী সমাজ বিপ্লব ছাড়া মানুষের মুক্তি সম্ভব নয়’ ইসরাইলে জার্মানির অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে আইসিজের অস্বীকৃতি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন শাহরাস্তি উপজেলা আ’লীগ সভাপতি গ্রীষ্মের ছুটি কি এপ্রিলে এগিয়ে আনা দরকার? আইডিবি ২৮ দশমিক ৯ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা দিবে গাজায় সাহায্য সরবরাহ বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনায় ব্লিঙ্কেনের জর্ডান যাত্রা বৃষ্টি আইনে ভারতের কাছে বাংলাদেশের হার ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরে শ্রম আদালতের মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত নোয়াখালীতে নজিরবিহীন লোডশেডিং ‘আইসিজের গ্রেফতারি থেকে বাঁচতে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ দিচ্ছে ইসরাইল’

সকল