০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরি
`

যেনতেনভাবে আদি যমুনা পুনঃখনন ক্ষতির মুখে দুই উপজেলা

সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে যেনতেনভাবে খনন করা আদি যমুনা নদী : নয়া দিগন্ত -

ঐতিহাসিক আদি যমুনা নদী কালিগঞ্জ অংশে যেনতেনভাবে খনন করে বিশাল এলাকাকে মরুকরণের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে যে প্রক্রিয়ায় খাল খনন করা হচ্ছে তাতে উপকারের পরিবর্তে কালিগঞ্জ ও শ্যামনগরেরে বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে চরম ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে। এমন আশঙ্কায় প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ও জনপ্রতিধিরা। এলাকার সার্বিক কল্যাণের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে যাতে অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, সে ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাঈদ মেহেদী জানান, আদি যমুনা একটি ঐতিহ্যবাহী নদী। এই নদীর পানি ব্যবহার করে হাজার হাজার বিঘা জমিতে কৃষি কাজ করা হতো। কিন্তু ১৯৯০ সালে অবৈধ দখলদারদের কবলে পড়ে আদি যমুনায় পানিপ্রবাহ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। অন্য দিকে বর্ষা মৌসুমে কয়েকটি ইউনিয়নের পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় সেসব স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
তিনি আরো বলেন, কালিগঞ্জ ও শ্যামনগরকে রক্ষা করতে এবং সুন্দরবনকে বাঁচাতে এই আদি যমুনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইছামতি নদীর মিষ্টি পানি এসে এলাকার কৃষিকাজসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপকার করে। ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে যমুনা নদী ৮০ ফুট প্রশস্ত করে খনন করা হয়। পরে একটি সার্ভে চক্র চক্রান্ত করে এখানে ব্রিজের অজুহাত দেখিয়ে ৬০ ফুট প্রশস্ত ও ৩০ ফুট গভীরতায় খননের জন্য প্রস্তাবনা তৈরি করে। সে অনুযায়ী পরবর্তী কার্যাদেশ পাওয়ার পর সম্প্রতি নদীর খনন কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে যমুনা খনন করা হচ্ছে, সে উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন তো হবেই না, বরং আরো ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
এ ব্যাপারে মৌতলা ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদাউস মোড়ল জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ যমুনা খাল শ্যামনগর থেকে কালিগঞ্জ পর্যন্ত কাটা হচ্ছে। সার্ভে করে এখন যেভাবে খাল কাটা হচ্ছে তাতে স্থানীয় জনগণের কোনো কল্যাণে আসবে না। এই খালটা আগে প্রশস্ত ছিল ৮০ থেকে ১০০ ফুট। বর্তমানে ৬০ ফুট প্রশস্ত করে খনন করা হচ্ছে। গভীর করা হচ্ছে ৩০ ফুটের মতো। এভাবে খাল খনন করলে এলাকার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেই সাথে বিশাল এলাকা মরুকরণের দিকে এগিয়ে যাবে। প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ের এই খনন কাজের সম্পূর্ণ টাকাই অপচয় হচ্ছে।
আদি যমুনা বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাফরুল্যাহ ইব্রাহিম বলেন, এভাবে খনন করলে জনগণের কল্যাণে আসবে না আদি যমুনা। এতে বরং অবৈধ দখলদাররা আরো সুবিধা পাবে। এই আদি যমুনা রক্ষা না করলে অদূর ভবিষ্যতে এলাকার মানুষ চরম বিপন্নের মুখ পড়বে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ৫নং পোল্ডারের সেকশন অফিসার তনয় হালদার বলেন, তিন কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে কালিগঞ্জ স্লুইসগেট থেকে যমুনা খালের ১৬ কিলোমিটার পর্যন্ত খনন কাজ চলছে। ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কার্যাদেশ পেয়েছেন। শিডিউল অনুযায়ী ঠিকাদার কাজ করছেন বলে তিনি জানান।
কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজাহার আলী বলেন, খাল খনন সংক্রান্ত বিষয়ে আমাকে কেউ লিখিত বা মৌখিকভাবে জানায়নি। তা ছাড়া এ বিষয়টি আমার এখতিয়ারভুক্তও নয়।


আরো সংবাদ



premium cement
দুদক কর্মকর্তাদের নৈতিকতা প্রদর্শন করে দায়িত্ব পালনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির আফগানদের অবস্থায় জাতিসঙ্ঘ বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ জমে উঠেছে লড়াই, ৫ উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ চট্টগ্রামে বেডিং কারখানার আগুন ‌দে‌শের সর্ব‌নিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাম্প ট্রাকের চাপায় নিহত ২ গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য বাইডেনকে চাপ ১৪০ ইহুদি সংগঠনের বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন পূরণ করেছে : প্রধানমন্ত্রী ‘সরকার গণআন্দোলনে দিশেহারা হয়ে বিরোধী অন্দোলন দমনের গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে’ শৈত্যপ্রবাহের সাথে তাপমাত্রা কমার আভাস ভূরুঙ্গামারীতে পেঁয়াজের ডাবল সেঞ্চুরি

সকল