গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অভিযোগ এনে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছেন গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাত সদস্য। তারা চেয়ারম্যান সুষেণ সেনের বরখাস্ত ও তার বিচার দাবি করে জেলা প্রশাসক, দুর্নীতি দমন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে এ সংক্রান্ত লিখিত আবেদন দিয়েছেন।
ভুয়া জন্ম নিবন্ধন ও ওয়ারিশন সার্টিফিকেট প্রদান, জালিয়াতীর মাধ্যমে ভিজিএফ, ভিজিডি, এলজিএসপি, টিআর ও কাবিখার বরাদ্দকৃত সরকারি মালামাল ও অর্থ আত্মসাৎ, হোল্ডিং-কার্ডের নামে অর্থ আদায় করে আত্মসাৎ, বিভিন্ন রাস্তা নির্মাণে কমিটির সদস্যের স্বাক্ষর জাল করে বা কখনো স্বাক্ষর ব্যতীত বা কখনো ভুয়া মাস্টার-রোল তৈরি করে টাকা উত্তোলন এবং পরিষদের কাউন্সিলরদের সম্মানী ভাতা না দেয়াসহ চেয়ারম্যানের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে ওই আবেদনপত্রে।
মেম্বাররা আরো জানিয়েছেন, গত বছরও বিভিন্ন অপকর্মের কারণে ইউনিয়নবাসীর কাছে চেয়ারম্যান সুষেণ সেন চরম অপদস্ত হয়েছেন। দুর্নীতিসহ তার নানা অপকর্ম তুলে ধরে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিবের কাছে অভিযোগ করা হলেও কিছুই হয়নি। তার বিরুদ্ধে মুখ খুললেই নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দেয়া হয়। তাই নিরুপায় হয়ে তারা পরিষদের সাত সদস্য একসঙ্গে গোপালগঞ্জ নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে এফিডেভিট নিবন্ধন করেছেন এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুবিচার দাবি করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান সুষেণ সেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেয়া কাপড়-চোপড় সবই বিতরণ করা হয়েছে। দু-চারটে যা আছে তা পরিষদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় শ্রম দেয় এমন দু-একজন গরিব মহিলার জন্য রাখা হয়েছে। এছাড়া অনাস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, তার প্রতি জনসমর্থন এবং আবার মনোনয়নপ্রাপ্তির কারণে এলাকায় তার প্রতিপক্ষ তৈরি হয়েছে। তারাই তার বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্র করছে এবং মিথ্যা অভিযোগ আনছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা