৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে জ্বালানি তেল চুরি, সর্বস্বান্ত ব্যবসায়ীরা

-

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই অঞ্চলে গাড়ি থেকে তেল চুরি বেড়েই চলছে। এখন দিনের বেলা মহাসড়কে প্রকাশ্যে তেল চুরি করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম থেকে ফেনী জেলার ধুমঘাট পর্যন্ত একাধিক সিন্ডিকেট এই তেল চুরির সাথে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বারইয়াহাট পৌরসভার চিনকি আস্তানা এলাকা চট্টগ্রামের শেষ প্রান্ত মিরসরাই উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে এমন অপরাধ এখন চলছে প্রকাশ্য দিবালোকে। এতে করে সর্বস্বান্ত হচ্ছে ভোজ্যতেল ও জ্বালানি তেল সরবরাহকারী বিভিন্ন ব্যবসায়ী।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিত্যদিনের মতো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চিনকি আস্তানা এলাকার সামনে একটি ট্রাকের সম্মুখভাগ আড়াল করার মতো উচ্চতাসম্পন্ন পর্দা দেয়া দোকানে ভেতরে ট্রাকটিকে আড়াল করে রাখা হয়। কয়েকজন শ্রমিক ট্রাকের ভেতর থেকে বোঝাই করা ড্রামগুলো থেকে পাইপ দিয়ে একে একে জ্বালানি তেল নামিয়ে নিচ্ছে। প্রতি ড্রাম থেকে প্রায় ১০ লিটার করে ১৪টি ড্রাম থেকে নেয়া হয় তেল। একপর্যায়ে আর্থিক লেনদেন সেরে ট্রাকটি আবার ঢাকার দিকে রওনা হয়।
আশপাশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন থেকে জানা যায়, এই চোরাই তেলের দোকানটি জনৈক দুলাল নামের ব্যক্তির। এইভাবে চোরাই তেল বিক্রি করেই সে এখন পাশের বহুতল ভবন, মার্কেট ও কয়েকটি দোকানের মালিক।
এই বিষয়ে দুলালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ‘ভাই আমি অনেক পরিশ্রম করে দু-পয়সা আয় করি, অনেকের সহ্য হয়না।’ কিন্তু এইভাবে তেল চুরি করার মতো অপরাধমূলক কাজটি কেন করছেন জানতে চাইলে দুলাল বলেন, ‘শুধু আমি না এই রুটের অন্তত ৫০টি দোকান আছে এমন।
একটি চোরাই সিন্ডিকেট আবার বাজারজাত করে এ তেল। ফলে রাত নয় দিনদুপুরেও চলছে পার্কিং করা গাড়ি থেকে চলে তেল চুরি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই উপজেলা এলাকার ছোটকমলদহ, সোনাপাহাড়, ধূমঘাট, ফেনীর ফাজিলপুর, মুহুরীগঞ্জ ও চৌদ্দগ্রামের বিভিন্ন্ এলাকায় রাস্তার পাশেই রয়েছে এসব অবৈধ তেলের দোকান।
এ ছাড়া তেল চুরির কারণে তেল সরবরাহকারী পদ্মা, মেঘনা, যমুনা অয়েল কোম্পানিসহ জ্বালানি খাতে ব্যাপক খরচ গুনতে হচ্ছে একাধিক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে।
ঢাকা-চট্টগ্রামের এই রুটের পেট্রোল পাম্প ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, এসব অবৈধ চোরাকারবারির কাছে আমরাও জিম্মি। কারণ এক স্থান থেকে উৎখাত করলে ওরা আরেক স্থানে গিয়ে আস্তানা করে নেয়। আমাদের তেলের ট্রাক থেকে ও ওরা তেল চুরিতে উদ্বুদ্ধ করে চালকদের। এতে করে বছর শেষে হিসাবের খাতায় লোকসানও গুনতে হয়।
এই বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের জোরারগঞ্জ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই সোহেল বলেন, মহাসড়কে ট্রাফিক বিভাগের সব দায়দায়িত্ব শুধু আমাদের। অপরাধবিষয়ক দায়িত্ব থানার তবুও আমরা এমন অপরাধগুলো থানার সহযোগিতা নিয়ে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
জোরারগঞ্জ থানার ওসি ইফতেখার হাসান বলেন, এমন কিছু অপরাধ প্রবণতার খবর ইতোমধ্যে আমরাও পেয়েছি, শিগগিরই এসব বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
দোয়ারাবাজারে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে হত্যা, আটক ১ বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের দাবি সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপির ২ প্রার্থী নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন ১৮৫ দিন : শিক্ষামন্ত্রী মঙ্গলবার ২ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম, কার্যকর বুধবার বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী ‘ইসলামী সমাজ বিপ্লব ছাড়া মানুষের মুক্তি সম্ভব নয়’ ইসরাইলে জার্মানির অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে আইসিজের অস্বীকৃতি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন শাহরাস্তি উপজেলা আ’লীগ সভাপতি

সকল