২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পরিসংখ্যানে এশিয়া কাপ ক্রিকেট

-

আরব আমিরাতে আজ থেকে শুরু হচ্ছে ১৪তম এশিয়া কাপ ক্রিকেট আসর। এর আগে ২০১২, ২০১৪ ও ২০১৬ সালে আয়োজক হয়েছিল বাংলাদেশ। একাধিকবার সফলভাবে এশিয়া কাপের আয়োজন করে সাড়া ফেলেছিল বাংলাদেশ। এবার ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে আয়োজক হওয়ার সুযোগ পেয়েছে আমিরাত। এশিয়া কাপে প্রতিবারই ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলা হয়। তবে গতবার টি২০ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে হয়েছিল টি-২০ ফরম্যাটে। সর্বশেষ ২০১৬ সালে টি-২০ পর এবারের এশিয়া কাপ হবে ওয়ানডেতে। এবারো ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

প্রথম টুর্নামেন্ট : ১৯৮৪ সাল (ওয়ানডে)
সর্বশেষ টুর্নামেন্ট : ২০১৪ সাল (ওয়ানডে) ও ২০১৬ সাল (টি-২০)
পরবর্তী টুর্নামেন্ট : ২০১৮ সাল (ওয়ানডে) ও ২০২০ সাল (টি-২০)

সর্বোচ্চ রান (ওয়ানডে) : ১৯৯০-২০০৮ সাল, শ্রীলঙ্কার সনাথ জয়াসুরিয়া ২৫ ম্যাচে করেছেন সর্বোচ্চ ১,২২০ রান। ইনিংস সর্বোচ্চ ১৩০ রান। ব্যাটিং গড় ৫৩.০৪। সর্বোচ্চ ৬টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি ৩টি হাফ সেঞ্চুরি। ১৩৯টি চারের পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন ২৩টি ছক্কা। ১০৭৫ রান নিয়ে দুইয়ে আরেক লঙ্কান গ্রেট কুমার সাঙ্গাকারা। আর ২৩ ম্যাচ খেলে ৯৭১ রান নিয়ে তৃতীয় স্থানে ভারতীয় শচিন টেন্ডুলকার।
সর্বোচ্চ রান (টি-২০) : একটি মাত্র আসরে একমাত্র সেঞ্চুরি করেন হংকংয়ের বাবর হায়াত। তিন ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৯৪ রান। ইনিংস সর্বোচ্চ ১২২ রান। দুইয়ে রয়েছেন বাংলাদেশের সাব্বির রহমান। ৫ ম্যাচ সাব্বির করেছেন ১৭৬ রান।
সর্বোচ্চ উইকেট (ওয়ানডে) : ১৯৯৫-২০১০ সাল, শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধারান ২৪ ম্যাচে ওয়ানডে ফরম্যাটে নিয়েছেন সর্বোচ্চ ৩০ উইকেট। অজন্তা মেন্ডিস নিয়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬ উইকেট (৮ ম্যাচ)। পাকিস্তানের সাঈদ আজমল ১২ ম্যাচে নিয়েছেন তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৫ উইকেট।
সর্বোচ্চ উইকেট (টি-২০) : সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় এক নম্বরে ৭ ম্যাচ খেলা আরব আমিরাতের আমজাদ জাভেদ। তিনি নিয়েছেন সর্বোচ্চ ১২ উইকেট। ১১ উইকেট নিয়ে এই তালিকায় দুইয়ে বাংলাদেশের পেসার আল আমিন হোসেন।
শিরোপা : সর্বোচ্চ ছয়বার ভারত, পাঁচবার শ্রীলঙ্কা আর দু’বার পাকিস্তান এই শিরোপা জিতেছে। বাংলাদেশ দু’বার (২০১২ ও ২০১৬) ফাইনালে উঠলেও শিরোপা ছোঁয়া হয়নি।
গোল্ডেন ডাক : এশিয়া কাপের ওয়ানডে ইতিহাসে ভারতের কোনো ক্রিকেটার এখনো শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেননি। তবে টি-২০ ম্যাচে ‘ডাক’ মেরেছেন আজিঙ্কা রাহানে, হারদিক পান্ডিয়া ও রোহিত শর্মা। ওডিআই ফরম্যাটে ‘ডাক’ এর তালিকায় শীর্ষে শ্রীলঙ্কা। সর্বোচ্চ ১৭ বার। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ১১ বার ও পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা ৯ বার। সর্বোচ্চ তিনবার করে শূন্যতে ফিরেছিলেন পাকিস্তানের সালমান বাট, বাংলাদেশের আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং শ্রীলঙ্কান মাহেলা জয়াবর্ধনে।
সর্বোচ্চ ম্যাচ : দুই ফরম্যাট মিলিয়ে এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ ৫২ ম্যাচ খেলেছে শ্রীলঙ্কা। যেখানে ৩৫ ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি হেরেছিল ১৭ ম্যাচ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৮ ম্যাচ খেলা ভারত জিতেছিল ৩১ ম্যাচ আর হেরেছিল ১৬ ম্যাচ, বাকি ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ ম্যাচ খেলে পাকিস্তান জিতেছিল ২৬ ম্যাচ, হেরেছিল ১৭ ম্যাচ আর পরিত্যক্ত হয়েছিল একটি ম্যাচ। টাইগাররা এশিয়া কাপে চতুর্থ সর্বোচ্চ ৪২ ম্যাচ খেলেছিল। সাতটি ম্যাচ জেতার পাশাপাশি হেরেছিল সর্বোচ্চ ৩৫ ম্যাচ।

 


আরো সংবাদ



premium cement