২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হুইল চেয়ারে চড়ে বিশ্বকাপে

-

বিশ্বকাপ বলে কথা। গেটেস্ট শো অন আর্থের চাক্ষুস সাক্ষী হতে কে না চান? যেভাবে পারেন সামর্থ্য থাকলেই চলে আসেন বিশ্বকাপ ফুটবলের ভেনুতে। চলে যান গ্যালারিতে। তাই বলে অক্ষম শরীর নিয়ে বিশ্বকাপের খেলা? হ্যাঁ, তেমন কাজই করেছেন মেক্সিকোর মার্টিনা ও আর্জেন্টিনার ক্রিশ্চিয়ানো। তারা হুইল চেয়ারে চড়ে আল্টানটিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে চলে এসেছেন রাশিয়ায়। দেখছেন বিশ্বকাপের খেলা।
মেক্সিকান মার্টিনার অনেক বয়স হয়ে গেছে। এখন তার বয়স চলছে ৮২। এই বয়সে তার বাড়িতে থেকে বিশ্রাম নেয়ার কথা। চিন্তা করার কথা পরকালের জন্য। কিন্তু ফুটবলের প্রতি তার অদম্য ভালোবাসা, অকৃত্রিম দরদই নিয়ে এসেছে হাজার মাইল দূরে। ছেলে ড্যানিয়েলকে সাথে নিয়ে চলে এসেছেন রাশিয়ায়। পর্তুগাল-মরক্কো ম্যাচের আগে তাকে পাওয়া গেল মস্কোর লুঝনিয়াকি স্টেডিয়ামে। বেশ কয় বছর আগে প্যারালাইসিস হয়ে গেছেন মার্টিনা। কিন্তু বন্ধ করেননি বিশ্বকাপ খেলা দেখা। দ্বোভাষীর মাধ্যমে জানান, এ অবস্থায় মধ্যে তিনি ব্রাজিল বিশ্বকাপের খেলা দেখেছেন। তবে সুস্থ অবস্থায় তিনি অনেক ম্যাচ দেখেছেন। নিজ মাঠে ১৯৭০ এবং ১৯৮৬-এর বিশ্বকাপ খেলায় মাঠে ছিলেন। এখন ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে চলেন। ছেলে তার হুইল চেয়ার ঠেলার দায়িত্বে থাকেন।
কাল নিজনি নবগরড মেট্রো স্টেশনে সাক্ষাৎ আর্জেন্টিনার ক্রিশ্চিয়ানোর সাথে। বাবা কার্লোসকে সাথে নিয়ে এসেছেন বিশ্বকাপে নিজ দেশের খেলা দেখতে। বাবাই যে তার হুইল চেয়ারের চালক। কার্লোসের ছয় সন্তান। এর মধ্যে ক্রিশ্চিয়ানোই জন্মের পর থেকে শারীরিক প্রতিবন্ধী। কিন্তু জ্ঞানবুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই ফুটবলপাগল। বিদেশে গিয়ে খেলা দেখাও তার থামানো যায় না অদম্য ইচ্ছের কারণে। ঠিকমতো কথাই বলতে পারেন না ২৮ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন। এর পরও জানান, এটা আমার দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। ২০১৪ সালে ব্রাজিলে গিয়ে ছয়টি বিশ্বকাপ ম্যাচ দেখেছি। এবার আর্জেন্টিনার সব ম্যাচ দেখব।
শুধু বিশ্বকাপই নয়, দু’টি অলিম্পিক গেমসও ক্রিশ্চিয়ান দেখেছেন হুইল চেয়ারে চেপে। ২০১২-এর লন্ডন এবং ২০১৬-এর রিও অলিম্পিক গেমস তিনি স্টেডিয়ামের দর্শক ছিলেন। সাথে বাবাও।

 


আরো সংবাদ



premium cement