শান্তিপূর্ণ মতপ্রকাশের অভিযোগে আটক ব্যক্তিদের মুক্তি দিতে মিসর কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। একই সাথে যে আইনের দ্বারা মিসরের নাগরিকদের বাকস্বাধীনতাকে কঠোরভাবে দমন করা হচ্ছে সে আইনটিকেও বিলুপ্ত করার আহ্বান জানায় সংস্থাটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার অ্যামনেস্টি আনুষ্ঠানিকভাবে ‘মিসর, সমালোচকদের জন্য এক উন্মুক্ত কারাগার’ নামে একটি প্রচারণা শুরু করে। সংস্থাটি বলেছে, মিসরবাসী এখন অভূতপূর্ব কঠোরতার মধ্যে তাদের দিন অতিবাহিত করছেন। পুরো দেশে এখন মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে চেপে ধরা হয়েছে।
অ্যামনেস্টি জানায়, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল সিসি ও দেশটির সাধারণ মানবাধিকার পরিস্থিতির সমালোচনা করায় গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ১১১ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অ্যামনেস্টির উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের প্রচারণা পরিচালক নাজিয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সাম্প্রতিক ইতিহাসের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন মিসরে সরকারের সমালোচনা করা অনেক বেশি বিপজ্জনক। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট সিসির শাসনামলে দেশটির নাগরিকরা শান্তিপূর্ণভাবে মতপ্রকাশ করতে চাইলে তাদেরকে অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’
তিনি মিসরের নিরাপত্তাবাহিনীকে নিষ্ঠুর বলে আখ্যায়িত করে বলেছেন, তারা নির্মমভাবে স্বাধীন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জায়গাগুলোতে দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের ৩০ বছরের দমনমূলক শাসনকালের চেয়েও এ পদপেগুলো অনেক কঠোর, যা সমালোচকদের জন্য মিসরকে একটি উন্মুক্ত কারাগারে পরিণত করেছে।’ মিসর সরকার অ্যামনেস্টির এই বিবৃতির ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে কায়রো সব সময় অপেশাদারি আচরণ ও শত্রুপক্ষের হাতের পুতুল হিসেবে কাজ করার জন্য অ্যামনেস্টি বা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে অভিযুক্ত করে থাকে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা