কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা কৃষি ব্যাংকের শাখা থেকে প্রায় ৫৪ লাখ টাকা উধাও হয়ে গেছে। এ ঘটনায় ওই শাখার ডাটা এন্ট্রি অপারেটর শিপন মিয়াকে (২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ডাটা এন্ট্রি অপারেটর দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসীদের পাঠানো টাকা ভূয়া পিন নম্বরের মাধ্যমে নিজের নামে তুলে আত্মসাৎ করে আসছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযুক্ত ডাটা এন্ট্রি অপারেটর শিপন ২০১৭ সাল থেকে এ ধরণের জালিয়াতি করে টাকা আত্মসাৎ করলেও বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নজরে আসে গত ২ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে। পরে বুধবার (৩ এপ্রিল) কৃষি ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার মুখ্য ব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান বাদী হয়ে মিঠামইন থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপরই শিপনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্ত শিপন মিয়া উপজেলার কাটখাল ইউনিয়নের চরকাটখাল গ্রামের মজলিশ মিয়ার ছেলে।
বুধবার রাতে মিঠামইন থেকে শিপন মিয়াকে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে কিশোরগঞ্জ আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুন নূর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেফতারের পর শিপন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক, পুলিশ ও অন্য কর্মকর্তাদের জেরার মুখে টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেন বলে জানা গেছে।
কৃষি ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার মুখ্য আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মোঃ শফিকুর রহমান জানান, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর শিপন প্রতারণা ও জালিয়াতি করে ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সালের ২ এপ্রিল পর্যন্ত বিদেশ থেকে ৪৮জন গ্রাহকের নামে পাঠানো ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ১০ টাকা আত্মসাৎ করেন।
কৃষি ব্যাংক মিঠামইন শাখার ব্যবস্থাপক মোতাহার হোসেন জানান, শিপন মিয়া প্রবাসীদের পাঠানো পেমেন্ট বা প্রদান স্লিপ নকল করে ভূয়া পিন নম্বর বসিয়ে নিজস্ব লোকদেরকে গ্রাহক সাজিয়ে এ টাকা আত্মসাত করেছেন। শিপন মিয়া পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে মিঠামইন থানার ওসি মোঃ জাকির রাব্বানী জানান, মামলা দায়ের হওয়ার পর অভিযুক্ত শিপনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছিল। গত বুধবার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ হেফাজতে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। পরে সুস্থ হয়ে উঠলে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করবে।
আরো পড়ুন : ফেনীর ঢাকা ব্যাংক থেকে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক ফেনী, (২০ মার্চ ২০১৯)
ফেনীতে ঢাকা ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার ও ক্রেডিট ইনচার্জ গোলাম সাঈদ রাশেব গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট হ্যাকড করে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ফেনী শাখার ম্যানেজার মো: আকতার হোসাইন সরকার বাদি হয়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তা রাশেব ও ক্যাশিয়ার আবদুস সামাদকে আসামি করে গতকাল রাতে মামলা দায়ের করেন। রাশেব বিভিন্ন উপায়ে ব্যাংক থেকে অন্তত সাত কোটি ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এর আগেই বিকেলে রাশেব ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আত্মসমর্পণ করেছে বলে জানা গেছে। ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিষয়টি প্রচার করা হলেও রাত ৯টার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফেনী মডেল থানা পুলিশ এ ব্যাপারে অবহিত নয় বলে জানিয়েছে ওসি আবুল কালাম আজাদ।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর একই শাখায় কর্মরত থাকায় বিশ্বস্ততার সুযোগ নিয়ে রাশেব অনেক গ্রাহকের কাছ থেকে ঋণ সমন্বয়ের কথা বলে নিজে ও অন্য অফিসারদের দিয়ে সাদা (ব্ল্যাংক) চেক সংগ্রহ করে। এ নিয়ে কয়েকজন গ্রাহকের সাথে মনোমালিন্য হলে ১২ মার্চ মঙ্গলবার ব্যাংকের শাখা ম্যানেজার ঊর্ধ্বতনদের লিখিতভাবে বিষয়টি অবগত করেন।
পরদিন যথারিতি অফিসে এসে বিষয়টি জেনে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ব্যাংক থেকে সরে পড়েন ওই কর্মকর্তা। ওইদিন চেক উত্তোলনের ম্যাসেজ পেয়ে দু-একজন গ্রাহক ব্যাংকে অভিযোগ করলে বিষয়টি আরো জানাজানি হয়।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল সন্ধ্যায় ফেনী জেলা ব্যাংকার্স ফোরাম জরুরি সভা আহ্বান করে। সংগঠনের সভাপতি শামসুল করিম মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিনের পরিচালনায় উক্ত সভায় ঢাকা ব্যাংক ফেনী শাখার সংগঠিত ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
উল্লেখ্য, রাশেব ফেনী সদর উপজেলার মৌটবী ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের মৃত আজিজুল হক ভূঞার ছেলে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা