টাঙ্গাইলের কালিহাতী থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেনকে প্রত্যাহারের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় তার গাড়িবহরে হামলার প্রতিবাদে তিনি রোববার বেলা সোয়া ২টা থেকে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘটে বসেন এবং এখনো তিনি তার দাবি আদায়ে অনড় অবস্থানে রয়েছেন।
আজ সোমবার বেলা ১১টার সময় ধর্মঘটস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ডিসি অফিসের সামনে ডেকোরেটরের পর্দা দিয়ে একটি ছোটখাটো প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। ভিতরে একটি চৌকিতে সাজানো-গোছানো বিছানার মধ্যে লেপের ওপর ডান হাতে ভর দিয়ে সামনে একটি পত্রিকা নিয়ে শুয়ে আছেন। তাকে ঘিরে কিছু নেতাকর্মী কেউ দাঁড়িয়ে আছেন আবার কেউ বসে বসে পত্রিকা পড়ছেন। প্যান্ডেলের বাইরেও কিছু নেতাকর্মীদের ভিড়। নেতাকর্মীরা জানান, রোববার সন্ধ্যার পর ঠান্ডা পড়লে এই প্যান্ডেলের ব্যবস্থা করা হয়।
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়নের সরাতৈল ও বল্লভবাড়িতে রোববার আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা সাবেক মন্ত্রী ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুরের এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার জন্য তিনি গোহালিয়াবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদারকে দায়ী করে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। পরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তিনি একটি লিখিত অভিযোগ দেন এবং ডিসির কাছে নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা দাবি জানান। একই সাথে লতিফ সিদ্দিকী বলছিলেন, কালিহাতী থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেনকে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তিনি এই অবস্থান ধর্মঘট চালিয়ে যাবেন।
কালিহাতী থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন বলেন, ‘রোববার বিজয় দিবসের জন্য ব্যস্ততা ছিল বেশি। তারপরও হামলার ঘটনাটি শোনার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে যাই। ওনার (লতিফ সিদ্দিকী) সাথে কথাও বলেছি। এখানে আমার কী দোষ। আমরা এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
অন্যদিকে গোহালিয়াবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদার তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। পরে খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে শুনি স্থানীয় লোকজনের সাথে লতিফ সিদ্দিকীর গোলমাল হইছে। যতটুকু জানছি, লতিফ সিদ্দিকী মন্ত্রী থাকার সময় ওই এলাকায় একটি প্রজেক্ট করার জন্য অনেক জায়গা কিনেন। স্থানীয় অনেকেই লতিফ সিদ্দিকীর কাছে সেই জায়গার টাকা পাওনা আছে। তারাই হয়তো ক্ষিপ্ত হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এতে আমি কোনোভাবেই জড়িত নই।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা