২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন ও উচ্চ আদালতের নির্দেশ নিয়ে জটিলতা

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রকৌশলীদের মধ্যে হতাশা

-

স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন ও উচ্চ আদালতের নির্দেশ নিয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রকৌশলীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।
সাধারণ মানুষের জন্য সুপেয় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করতে ১৯৩৬ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর। বিশেষ করে স্বাধীনতার পর পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের কর্মপরিধি সম্প্রসারিত হতে থাকে। কিন্তু জনবল কম থাকায় সম্প্রসারিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হন অধিদফতরের কর্মীরা। দীর্ঘদিন সরাসরি কোনো নিয়োগ না হওয়ায় বিভিন্ন প্রকল্পভিত্তিক নিয়োগ এবং সরাসরি বিসিএসের মাধ্যমে নন-ক্যাডারে পদায়ন হওয়া কর্মকর্তার মাধ্যমে অধিদফতরের কার্যক্রম চালিয়ে নেয়া হয়।
সূত্র জানায়, বর্তমানে অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী থেকে প্রধান প্রকৌশলী পর্যন্ত ক্যাডারভুক্ত ৯৪টি পদের মধ্যে ৯০টি পদই শূন্য। প্রধান প্রকৌশলীর পদটিও দীর্ঘদিন ধরে খালি রয়েছে। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর তিনটি পদের মধ্যে দু’টিই খালি। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর ১৪টি পদের মধ্যে দু’টি (খুলনা সার্কেল ও পরিকল্পনা সার্কেল) বাদে ১২টি পদেই অতিরিক্ত দায়িত্বের মাধ্যমে কাজ চালানো হচ্ছে। নির্বাহী প্রকৌশলীর ৭৮টি পদের মধ্যে ৭৬টিই শূন্য।
সূত্র জানায়, অধিদফতরে ৭ থেকে ৩০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিপুলসংখ্যক প্রকৌশলী কর্মরত থাকার পরও ক্যাডারভুক্তি না থাকার কারণে তাদের পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে না। এর ফলে প্রশাসনিক কাঠামোতে চরম নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে সম্প্রসারিত কর্মপরিধি ও সীমিত সংখ্যক জনবলের বিষয় বিবেচনায় এনে স্থানীয় সরকার বিভাগ অধিকতর সংশোধন ও ওই পদগুলোতে পদধারী স্থায়ী ও নিয়মিতকৃত কর্মকর্তাকে ক্যাডারে অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায়। প্রস্তাবটিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগবিধি পরীক্ষণসংক্রান্ত উপকমিটি, প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির সুপারিশ, সরকারি কর্ম কমিশনের মতামত, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর ১৯৮০ এর তফশিল সংশোধন করে ক্যাডার পদসংখ্যা ১৩৬ থেকে ৩২৯ এ উন্নীত করা হয়। এই পদের ৯৫ জন র্কমর্কতাকে বিসিএস ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে বিরাজমান সাংগঠনিক কাঠামো ও জনবলসংক্রান্ত সমস্যার প্রাথমিক সমস্যার সমাধান ঘটে।
কিন্তু এরপর এই অধিদফতরের ২১ জন কর্মকর্তা স্থানীয় সরকার বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন। হাইকোর্ট গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপনের ওপর চার মাসের স্থগিতাদেশ দেন। পরে গত ৬ মার্চ সরকারপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত হাইকোর্ট বিভাগের স্থগিতাদেশ আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করেন।
সূত্র জানায়, সামগ্রিক বিষয়টি আদালতে বিবেচনাধীন থাকা সত্ত্বেও প্রজ্ঞাপনটি বাতিলের প্রক্রিয়া করা হচ্ছে; যা একই সাথে আদালত অবমাননার শামিল। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে স্থানীয় সরকার বিভাগকে জানানো হয়। কিন্তু এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রকৌশলী বলেন, জারি করা ওই প্রজ্ঞাপনের সঙ্গে অধিদফতরের ১৫০ জন প্রকৌশলীর মধ্যে প্রায় ১২৫ জনের চাকরিসংক্রান্ত স্বার্থ জড়িত। ফলে তাদের মধ্যে চরম হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। এর সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত কাজেও মনোযোগ দিতে পারছেন না তারা।

 


আরো সংবাদ



premium cement
কুষ্টিয়াতে মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫ চেয়ারম্যান তপন ও অজিত মেম্বারকে ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ১৪ ডাকাত সদস্য গ্রেফতার রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং ওকাব সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক জুলহাস আলম পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে চুয়েট ১১ মে পর্যন্ত বন্ধ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে শিশুর মৃত্যু হিলিতে ভটভটি-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২

সকল