২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঠাকুরগাঁওয়ে বিজিবি-গ্রামবাসী সংঘর্ষের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিটের শুনানি ২৪ ফেব্রুয়ারি

-

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাথে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে তিনজন নিহত ও ২০ জন আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
রিটকারী আইনজীবী তনয় কুমার সাহা জানান, রিট আবেদনের ওপর শুনানির জন্য গতকাল নির্ধারিত দিনে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এক সপ্তাহ সময় আবেদন করেন। পরে আদালত শুনানি না করে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানান, বিজিবি ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষের বিষয়ে নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা রিটের বিষয়টি আমার খোঁজ নিতে হবে। তাই আদালতের কাছ থেকে সময় নিয়েছি। ওই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে, তদন্ত চলছে। তাই এ বিষয়ে কথা বলতে চাই না।
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে বিজিবি সাথে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ও নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রিটটি করেন আইনজীবী তনয় কুমার সাহা। রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিজিবির মহাপরিচালক ও বিজিবি-৫০ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসারকে বিবাদি করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাথে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহত ২০ জন আহত হন। বিজিবির দাবি নিহত ব্যক্তিরা গরু চোরাচালানকারী দলের সদস্য। তবে গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দার ভাষ্য, প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার হরিপুর উপজেলায় যাদুরানী হাট বসে। হাটটি গবাদিপশু বিক্রির জন্য প্রসিদ্ধ। স্থানীয় বহরমপুর গ্রামের হবিবর রহমানসহ কয়েকজন গ্রামবাসী ওই হাটে বিক্রির জন্য গরু নিয়ে যাচ্ছিলেন। সে সময় বিজিবির বেতনা ক্যাম্পের সদস্যরা গরুগুলো ভারত থেকে চোরাচালান করে আনা দাবি করে সেগুলো জব্দ করেন। এ নিয়ে বিজিবির সদস্যদের সাথে গ্রামবাসীর বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় বিজিবি গুলি ছুড়তে শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলে দুইজন নিহত হন। হাসপাতালে নেয়ার পথে আরো একজনের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন- হরিপুর উপজেলার রুহিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে নবাব উদ্দিন (৩৫), একই গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে সাদেক (৪৫) ও বহরমপুর গ্রামের নূরল ইসলামের ছেলে জয়নুল (১২)।


আরো সংবাদ



premium cement