২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সারা দেশে জাতীয় শোক দিবস পালিত

-

সারা দেশে গতকাল জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিল আলোচনা সভা, শোক র‌্যালি, কালো ব্যাজ ধারণ, পতাকা অর্ধনমিত রাখা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ, ছড়া কবিতা রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, দোয়া ও মোনাজাত এবং দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ ইত্যাদি।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহীতে জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকীর পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল আ’লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচির আয়োজন করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিলÑ কালো পতাকা উত্তোলন, জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, শোক র‌্যালি, দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, রক্তদান কর্মসূচি, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা প্রভৃতি।
গতকাল সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নগরীর কুমারপাড়ায় মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন, জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল ৯টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নবনির্বাচিত মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পাশে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে মহানগর কার্যালয়ের সামনে সংপ্তি সমাবেশে বক্তব্যের পর বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এরপর দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি শোক র‌্যালি বের করা হয়। এটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদণি করে আবার দলীয় কার্যালয়ে সামনে গিয়ে শেষ হয়।
দিবসটি উপলে সকাল থেকে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করেন। এ ছাড়া নগরীর লক্ষ্মীপুরে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এ দিকে পৃথকভাবে জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। সকালে কোর্ট শহীদ মিনার চত্বরে জেলা প্রশাসক এস এম আবদুল কাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শোক পদযাত্রা বের করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কে আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।
সকাল থেকে রাজশাহী ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয় ও জেলা শিশু অ্যাকাডেমিতে দিবসের ওপর কবিতা পাঠ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, হামদ ও নাত প্রতিযোগিতা এবং মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া বাদ জোহর বিভিন্ন মসজিদে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সন্ধ্যায় গণযোগাযোগ অধিদফতরের উদ্যোগে নগরীর লক্ষ্মীপুর মোড়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনের ওপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করার কথা রয়েছে।
খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার সকল সরকারি ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়।
সকালে একটি শোক শোভাযাত্রা নগরীর নিউমার্কেট থেকে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ বেতার খুলনার প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্ট শাহাদতবরণকারী তার পরিবারের অন্য সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, মুহাম্মদ মিজানুর রহমান এমপি, খুলনা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত ডিআইজি, জেলা প্রশাসক মুক্তিযোদ্ধাসহ সব বিভাগীয় ও জেলা অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সব শিাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-শিক এতে অংশগ্রহণ করেন।
এ উপলে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকালে অফিসার্স কাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে রচনা, সঙ্গীত, চিত্রাঙ্কন ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় বিজীয়দের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এ ছাড়া গতকাল সকালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিাপ্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, হাম্দ ও নাত এবং মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। প্রতœতত্ত্ব অধিদফতর খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর অটিস্টিক শিশুদের জন্য দিনব্যাপী ‘প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং মাসব্যাপী শোকাবহ আগস্ট’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শন করে। খুলনা সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিস (পিআইডি) শোক শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে এবং পরে অফিসে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
শোক দিবস উপলে স্থানীয় পত্রিকাগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং বাংলাদেশ বেতার খুলনা বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে। উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর কর্মজীবনভিত্তিক পুস্তক প্রদর্শন করে। বাদ জোহর কালেক্টরেট মসজিদ, পুলিশ লাইন জামে মসজিদ ও টাউন জামে মসজিদসহ নগরীর বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া-মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। মন্দির, গির্জা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ, খুলনা প্রেস কাব, খুলনা জেলা পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দিবসটি উপলে পৃথক পৃথক কর্মসূচি পালন করে। আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিভিন্ন স্থানে কাঙালি ভোজের আয়োজন করা হয়। খুলনার ৯ উপজেলাতেও নানা কর্মসূচি পালিত হয়।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আব্দুর রব সেরনিয়াবাতসহ অন্যান্য ব্যক্তির প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্যদিয়ে বরিশালে গতকাল পালিত হয়েছে জাতীয় শোক দিবস। সকাল ৮টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অস্থায়ী বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে দিবসটির সূচনা হয়। এখানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো: ইউনুস এমপির নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নেতাকর্মীরা। এরপর মহানগর আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সমাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া অশ্বিনী কুমার টাউন হলে আয়োজন করা হয়েছে আলোচনা সভা। দিবসটি উপলক্ষে নগরীতে শোক র‌্যালি বের করে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। এতে নেতৃত্ব দেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহসহ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।
অপর দিকে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে উপজেলা প্রশাসন ও দলীয় উদ্যোগে পৃথকভাবে শোক র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগৈলঝাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার সব সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসে শোক র‌্যালি, আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ দিকে, নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বরিশালের মুলাদী আরিফ মাহমুদ কলেজে জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। কলেজ অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম খসরুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর ও ইতিহাসবিদ সিরাজ উদ্দিন আহমেদ।
কর্মসূচির মধ্যে ছিল কালো ব্যাজ ধারণ, জাতীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন, শোক র‌্যালি, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পামাল্য অর্পণ, ছাত্রছাত্রীদের বক্তৃতা প্রতিযোগিতা, ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ শিরোনামে দেয়ালিকা প্রকাশ, আলোচনা সভা ও মুনাজাত।
এ ছাড়া জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গতকাল বরিশাল মেট্রোপলিটন কলেজে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টায় কলেজ ক্যাম্পাসে কালো ব্যাজ ধারণ, কুরআন তিলাওয়াত ও সাড়ে ১০টায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজ অধ্যক্ষ এস এম আলী নেছার।
রংপুর অফিস জানায়, রংপুর মহানগরীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
গতকাল সকালে রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার নেত্বত্বে একটি শোক র‌্যালি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সিটি মিলনায়তনে আয়োজন করে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের। এর আগে তিনি নগরীর ডিসির মোড়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এতে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
সকাল ৯টায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, রংপুর বিভাগীয়, জেলা প্রশাসন এবং রেঞ্জ ও জেলা পুলিশ ডিসির মোড়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নগরীতে বের হয় একটি শোক র‌্যালি। এতে বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহমেদ, ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য, ডিসি এনামুল হাবীব, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান প্রমুখ অংশ নেন। পরে টাউন হলে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভার। ডিসির সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেনÑ বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, পুলিশ সুপার, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সেক্রেটারি।
অন্য দিকে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে দিনটি উপলক্ষে রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, খাবার বিতরণ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবি সংগঠন। দিনটি উপলক্ষে জেলখানায় উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
ময়মনসিংহ অফিস জানায়, দিনভর নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে ময়মনসিংহে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত, দলীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ, রক্তদান কর্মসূচি, দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ, আলোচনা সভা ও বিশেষ মুনাজাতের আয়োজন করে। সকালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পাঠান বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন। পরে নেতৃবৃন্দ উপস্থিত সাধারণ মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন। দুপুরে জেলা ও মহানগর যুবলীগ ও ছাত্রলীগ পৃথক মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা সহকারে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এ দিকে বিভাগীয় কমিশনার মাহমুদ হাসান ও জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এবং ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি ও নবাগত পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন পুলিশ লাইনস প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। ময়মনসিংহ পৌরসভা আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মেয়র ইকরামুল হক টিটু। সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ প্রেস কাবের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলমগীর মনসুর (মিন্টু) মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ নীহার রঞ্জন রায়ের সভাপতিত্বে কলেজ প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এডভান্স রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের উদ্যোগে অধ্যক্ষ মু: কামরুল হাসান মিলনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা, রচনা প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
যশোর অফিস জানায়, যথাযোগ্য মর্যাদায় যশোরে পালিত হয়েছে জাতীয় শোক দিবস। শহরের বকুলতলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন যশোর-৩ সদর আসনের সাবেক এমপি জেলা আওয়ামী লীগ নেতা খালেদুর রহমান টিটো। এ উপলক্ষে তার নেতৃত্বে এক শোক র‌্যালি রেব হয়। পরে হরের ভোলাট্যাংক রোডের বাস ভবন এলাকায় শোক দিবসের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তিনি। এ ছাড়া সেখানে মিলাদ মাহফিল ও দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণে অংশ নেন টিটো। এ দিকে সকাল সাড়ে ৮টায় শহরের বকুলতলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান যশোর-৩ আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ।
এরপর যশোরের জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল, পুলিশ সুপার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের পক্ষে ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে গতকাল সারা দিন বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় আলোচনা সভা, দরিদ্র ভোজের আয়োজন করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইলে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন ও জেলা আওয়ামী লীগ।
সকালে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যান থেকে একটি শোক র‌্যালি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
এ দিকে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো: আলাউদ্দিন সকালে কালোব্যাজ ধারণ, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন। পরে একটি শোক র‌্যালি বের হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বিশ^বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বাদ জোহর বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সব সদস্যের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ দোয়া করা হয়।
মানিকগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, মানিকগঞ্জে যথাযথ মর্যাদায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শোক র‌্যালি, আলোচনা সভা, পুষ্পস্তবক অর্পণ, কুরআন তেলোয়াত, দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দিবসটি আলাদাভাবে পালন করে।
দিবসটি উপলক্ষে বুধবার সকালে জেলা প্রশাসনের ব্যানারে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের ছায়াবীথি মঞ্চে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এর আগে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এ ছাড়াও জেলার ছয়টি উপজেলায়ই পৃথক পৃথকভাবে শোক দিবস পালিত হয়েছে। জেলার হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকার গাউসুল আযম আ: কাদের জিলানী (রহ:) মাদরাসাসহ জেলার প্রায় প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই শোক দিবস পালিত হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, কিশোরগঞ্জে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল ও দরিদ্র ভোজের আয়োজন করা হয়। গতকাল বিকেলে করিমগঞ্জের নিয়ামতপুর আসাদুল হক বালিকা মাদরাসার মাঠে, জয়কা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে, জাফরাবাদ ও কাদিরজঙ্গল এলাকায় আলোচনা সভা ও দরিদ্র ভোজের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ।
পূর্বধলা (নেত্রকোনা) সংবাদদাতা জানান, শোকদিবসের অনুষ্ঠান পালন উপলক্ষে গতকাল নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন সমর্থিত দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা যায়, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল সমর্থিত গ্রুপ উপজেলা সদরের প্রধান সড়কে পৃথক পৃথক মঞ্চ তৈরি করে আলোচনা সভার আয়োজন করে। ওই সময় আলোচনা সভা চলাকালে উভয় পক্ষের কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় এমপি সমর্থিত কর্মীরা আহমদ হোসেন সমর্থিত গ্রুপের মঞ্চ, দলীয় কার্যালয় ও ৮/১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। পরে তারা সাবেক ছাত্রনেতা শুকান্ত সরকার রঞ্জনের খাদ্যগুদাম রোডের বাসভবনে হামলা চালায়।
টঙ্গী সংবাদদাতা জানান, টঙ্গীতে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন, টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজ, সফিউদ্দিন সরকার অ্যাকাডেমি অ্যান্ড কলেজ, টঙ্গী সিরাজ উদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন অ্যান্ড কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে টঙ্গীর বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় গণভোজ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন এলাকায় দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ মো: জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান প্রমুখ।
বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বাউয়েট) ক্যাম্পাসে ‘জাতীয় শোক দিবস উপলে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরতে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে রচনা, কবিতা আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা করা হয়। এ ছাড়া দিনের শুরুতে ক্যাম্পাসে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। বিজ্ঞপ্তি।
তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস’ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে মাদাসায় আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। মাদরাসা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা শামসুজ্জামান বাবু।
শাবি সংবাদদাতা জানান, নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলে কালো পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শোক র‌্যালির আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে সকল বিভাগের শিক, শিার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
সকাল সাড়ে ৯টায় ক্যাম্পাসে এক শোক র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালি শেষে বেলা ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে দিবসটি উপলে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শোক দিবস পালন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আখতারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্য অধ্যাপক ড. ইলিয়াস উদ্দীন বিশ্বাস।

 


আরো সংবাদ



premium cement