২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গ্রন্থাগারে বঙ্গবন্ধু কর্নার বাধ্যতামূলক হচ্ছে

-

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গ্রন্থাগারে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ স্থাপন বাধ্যতামূলক করে আদেশ জারির উদ্যোগ নিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গ্রন্থাগারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা বই, তার জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাপ্রবাহের প্রামাণ্য চিত্রসহ নানা বিষয় এখানে স্থান পাবে। এ ছাড়াও তাকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন লেখকের প্রবন্ধ, বক্তৃতা, বিবৃতি, বাণী, নির্দেশ, সাাৎকার , ছবিও বঙ্গবন্ধু কর্নারে স্থান পাবে। এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা অনুসারেই গ্রন্থাগারকে সাজাতে হবে। গ্রন্থাগারে কোন বইগুলো স্থান পাবে তা নির্ধারণ করে দেয়া হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে। নির্ধারিত বইয়ের তালিকা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠানোর পর তা গ্রন্থগারে রাখতে হবে। তবে বঙ্গবন্ধুর ওপর কতগুলো বই লেখা হয়েছে তা সঠিক তথ্য সংগ্রহ করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও দফতরের সহযোগিতা চাওয়া হবে।
কাল মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে এ ব্যাপারে বৈঠক ডাকা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ, বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) মহাপরিচালক, আন্তঃবোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব কামরুল হাসানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বিষয়টি একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। মঙ্গলবারের বৈঠকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানায়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের ওপর বিভিন্ন বিষয়ে লেখা এই পর্যন্ত দেশ-বিদেশে ১৩ শতাধিক মৌলিক গ্রন্থ প্রকাশ পেয়েছে। এই বইগুলো বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত। এ ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর ওপর বেশসংখ্যক বই চীনা, জাপানি, ইতালি, জার্মানি, সুইডিশসহ কয়েকটি বিদেশী ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। এসব বই সংগ্রহ করে গ্রন্থাগারে সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানা গেছে, সম্প্রতি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচিত ১০০ ভাষণের সংকলন সহায়ক পুস্তক হিসেবে তালিকাভুক্ত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এরই আলোকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ওপর লেখা বই সরকারিভাবে দেয়া হবে নাকি প্রতিষ্ঠান নিজে সংগ্রহ করবে সে বিষয়ে আলোচনা হবে ওই বৈঠকে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে আসছেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন ও বুদ্ধিজীবীরা। ২০০৪ সালে প্রকাশিত হয় এ বইটি। এ বইয়ে শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৭ সালের মাঝামাঝি সময় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ অবস্থায় লেখা শুরু করেছিলেন। বইটিতে বঙ্গবন্ধুর শৈশব, শিা জীবনের সংগ্রাম সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, ভাষা আন্দোলন, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা, যুক্তফ্রন্ট গঠন ও নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন, পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্যমূলক শাসন ও প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের বিস্তৃত বিবরণ এবং এসব বিষয়ে লেখকের প্রত্য অভিজ্ঞতার বর্ণনা রয়েছে। এ ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর জেল জীবনের দৈনন্দিন বিবরণ বা ডায়েরির ওপর নির্ভর করে দ্বিতীয় বইয়ের নাম ‘কারাগারের রোজনামচা’। শুধু বাংলায় নয় ইংরেজিতেও বইটি প্রকাশ হতে যাচ্ছে। দু’টি সংস্করণই প্রকাশ করবে বাংলা একাডেমি। ২০১৭ সালে একুশে গ্রন্থমেলায় বাংলা সংস্করণটি প্রকাশ করেছে বাংলা একাডেমি। আর ‘এই দেশ এই মাটি’ নামে আরেকটি বইয়ে (প্রবন্ধ, বক্তৃতা, বাণী, নির্দেশ ও সাাৎকার) মূলক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি বই রয়েছে। এ বইয়ে বঙ্গবন্ধুর লেখা পাঁচটি প্রবন্ধ, ৫২৭টি বক্তৃতা-বিবৃতি, ৩২টি বাণী, ১৭টি নির্দেশ, তিনটি সাাৎকার, বহু উপাধিতে ভূষিত শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ১২টি বিষয়, ১৭টি ঐতিহাসিক দলিলপত্র এবং ২২১টি দুর্লভ ছবি রয়েছে। এ দু’টি বই গ্রন্থাগারে বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি শিার্থীদের রেফারেন্স বই হিসেবে ব্যবহারের জন্য ‘শেখ হাসিনার নির্বাচিত ১০০ ভাষণ’ সংকলনটি সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিা অধিদফতর। ২০১৪ থেকে ২০১৭ সালের উল্লেখযোগ্য ভাষণগুলো নেয়া হয়েছে এই সংকলনে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে গত ২৬ জুন মাধ্যমিক ও উচ্চশিা অধিদফতরের (মাউশি) সহকারী পরিচালক সাখায়েত হোসেন বিশ্বাস স্বারিত এক চিঠির মাধ্যমে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে? নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণগুলোর মধ্য থেকে বাছাই করা ১০০টি ভাষণের একটি পুস্তক প্রকাশ করা হয়েছে। বইটিতে প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ ও গতিশীল নেতৃত্বে এই দুই মেয়াদের শেষ প্রান্তে এসে কৃষি, শিল্প, শিা, অবকাঠামো উন্নয়ন, নারীর মতায়নসহ সর্বেেত্র বাংলাদেশ বিপুল অগ্রগতি সাধন করেছে। সংকলনের নির্বাচিত ভাষণগুলোতে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন চিন্তা, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দর্শন এবং জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি বা পরিকল্পনার পরিচয় পাওয়া যাবে। সাড়ে ৫০০ পৃষ্ঠার এই সচিত্র সংকলনটি প্রকাশ করেছে বেসরকারি প্রকাশনী জিনিয়াস পাবলিকেসন্স। এ ছাড়াও বিনামূল্যে বইয়ের পেছনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি রঙিন ছবি ছাপা হচ্ছে। শিার প্রসারে শেখ হাসিনার অবদান তুলে ধরতেই প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণীর বইয়ে ‘ব্যাক কভারে’ প্রধানমন্ত্রীর বই বিতরণের ছবি ছাপানো হয়েছে। এ কাভার সংবলিত বই ২০১৯ সালে বিনামূল্যের বইতে পাওয়া যাবে।


আরো সংবাদ



premium cement
কুষ্টিয়াতে মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫ চেয়ারম্যান তপন ও অজিত মেম্বারকে ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ১৪ ডাকাত সদস্য গ্রেফতার রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং ওকাব সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক জুলহাস আলম পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে চুয়েট ১১ মে পর্যন্ত বন্ধ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে শিশুর মৃত্যু হিলিতে ভটভটি-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২

সকল