৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সিদ্ধিরগঞ্জের ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উন্মোচন

বাবার পরিকল্পনায় দুই শিশুকন্যা ও মাকে শ্বাসরোধে হত্যা

-

সিদ্ধিরগঞ্জে ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছে থানা পুলিশ। দ্বিতীয় বিয়ের বিরোধের জেরে পাষণ্ড বাবা মাসুদ দেওয়ানের পরিকল্পনায় দুই শিশুকন্যা ও প্রথম স্ত্রীকে নৃশংসভাবে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বলে জানায় পুলিশ। হত্যার পর নিহত শিশুদের লাশ বস্তায় ভরে ফেলে দেয়া হয়েছিল সিদ্ধিরগঞ্জের আটি এলাকার একটি মাছের খামারে ও মায়ের লাশ ড্রামে ভরে ফেলে দেয়া হয়েছিল ডিএনডি খালে। নিহতেরা হলেন মাসুদের প্রথম স্ত্রী নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানার পদুয়া এলাকার সোলায়মানের মেয়ে আঞ্জুবী আক্তার (২৮) ও তার দুই মেয়ে সাত বছর বয়সী মাইদা আক্তার ও ১৫ মাস বয়সী মাহি। মাসুদ দেওয়ানের পরিকল্পনায় দ্বিতীয় স্ত্রী শোভা আক্তার ও শোভার চাচাতো ভাই সবুজ ওরফে সোহেল শ্বাসরোধে মা ও দুই মেয়েকে হত্যা করে। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় মাসুদ দেওয়ান (৩২) ও দ্বিতীয় স্ত্রী শোভা আক্তারের চাচাতো ভাই সবুজ ওরফে সোহেলকে (১৯) এ ঘটনায় পলাতক রয়েছে দ্বিতীয় স্ত্রী শোভা আক্তার। গতকাল সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কার্যালয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল-ক) মো: শরফুদ্দীন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে হত্যাকান্ডের বিষয়টি সাংবাদিকদের অবহিত করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুস সাত্তার মিয়া, পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম, পরিদর্শক (অপারেশন) আজিজুল হক ও এসআই রাসেল আহমেদ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সিদ্ধিরগঞ্জের আটি হাউজিং এলাকার মসজিদ গলির কবির মিয়ার বাড়ির ৬ তলার একটি ফ্যাট ভাড়া নেয় মাসুদ দেওয়ান। সে তার প্রথম স্ত্রী আঞ্জুবী আক্তারের অমতে তারই বান্ধবী শোভা আক্তারকে বিয়ে করে। এ বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকত। ওই ঝগড়ার জের ধরে সে তার দ্বিতীয় স্ত্রী শোভা আক্তার ও শোভার চাচাতো ভাই সবুজ ওরফে সোহেলকে সঙ্গে নিয়ে প্রথম স্ত্রী আঞ্জুবী আক্তারকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ওই পরিকল্পনা মোতাবেক গত ৯ জুন কবির মিয়ার বাড়ির ৬ তলার ফ্যাটে মাসুদ দেওয়ানের দ্বিতীয় স্ত্রী শোভা ও তার চাচাতো ভাই সবুজ ওরফে সোহেল প্রথমে আঞ্জুবী আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে বড় মেয়ে মাইদা ও ছোট মেয়ে মাহিকেও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর মাসুদ দেওয়ানসহ আসামিরা প্রথম স্ত্রী আঞ্জুবী আক্তারের লাশ বস্তায় ভরে ড্রামে করে গোদনাইলের ভাঙ্গারপুল এলাকার ডিএনডি খালে ফেলে দেয়। এবং দুই শিশুকন্যার লাশ বস্তায় ভরে আটি এলাকার একটি একটি মাছের খামারে ফেলে দেয়া হয়। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ গত ১১ জুন বিকেল ৫টায় সিদ্ধিরগঞ্জের ভাঙ্গারপুল এলাকার ডিএনডি ইরিগেশন খালের পাশ থেকে ড্রামের মধ্যে আঞ্জুবী আক্তারের (২৮) লাশ উদ্ধার করে। এরপর গত ১৬ জুন ঈদের দিন আটি হাউজিংয়ের নাদিম মাহমুদ সুমনের মাছের খামার থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় ১৫ মাস বয়সী শিশু মাহির লাশ উদ্ধার করা হয়। ১৮ জুন একই খামারে ভাসতে থাকা একটি ব্যাগ থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় শিশু মাইদার (৭) লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ তদন্তে নেমে হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে শুরু করে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই রাসেল আহমেদ প্রথমে আটি এলাকা থেকে মাসুদ দেওয়ানকে গ্রেফতার করে। পরে পুলিশ শোভা আক্তার ও শোভার চাচাতো ভাই সবুজ ওরফে সোহেলকে গ্রেফতার করতে নেত্রকোনার খালিয়াঝুড়ি এলাকায় গিয়ে গতকাল তাকে গ্রেফতার করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল-ক) মো: শরফুদ্দীন আরো জানান, ঘাতক সবুজ ওরফে সোহেল আদালতে স্বীকারোক্তমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। স্বামী মাসুদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। অপর ঘাতক দ্বিতীয় স্ত্রী শোভাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


আরো সংবাদ



premium cement
দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেকর্ড বিদ্যুৎ উৎপাদন, তারপরও লোডশেডিং বড় চমক ছাড়াই প্রস্তুত বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল দোয়ারাবাজারে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে হত্যা, আটক ১ বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের দাবি সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপির ২ প্রার্থী নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন ১৮৫ দিন : শিক্ষামন্ত্রী মঙ্গলবার ২ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম, কার্যকর বুধবার বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

সকল