ঘিওরে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডাক্তার সঙ্কট, ফিরে যাচ্ছেন রোগীরা
- ঘিওর (মানিকগঞ্জ) সংবাদদাতা
- ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০
পর্যাপ্ত ওষুধ নেই, রয়েছে ডাক্তার সঙ্কটও। রোগীরা ফিরে যাচ্ছে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে। মানিকগঞ্জের ঘিওর উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র। জনবল সঙ্কট ও তদারকির অভাবে চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পথে। এতে গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ছাড়াও গ্রামীণ শিশু, নারী ও সাধারণ রোগীদের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনে যেতে হচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
ঘিওর স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার ইফ্ফাত জাহান জানান, উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে জনবল কাঠামোতে পাঁচটি পদ রয়েছে। এখানে বর্তমান তিনটি পদে লোক আছে। বাকি দু’টি পদ শূন্য। প্রতিদিন প্রায় ৪০-৫০ জন রোগী সেবা নিতে আসেন। পর্যাপ্ত ওষুধ না থাকায় রোগীদের ওষুধ দেয়া সম্ভব হয় না। তিনি আরো বলেন, পুরনো একটি টিনের ঘরেই কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বৃষ্টি এলে ঘরের চাল দিয়ে পানি পড়ে। সীমানা প্রাচীর না থাকায় দিন দিন জায়গা বেদখল হচ্ছে। এ ছাড়া বুধবার হাটের দিন লোকজন ভেতরে প্রবেশ করে প্রস্রাব, পায়খানা, ধূমপান করে পরিবেশ নষ্ট করে। নেশাখোররা রাতে নেশা জাতীয় জিনিস খেয়ে বোতল ভেতরেই ফেলে রেখে যায়। সমস্যাগুলোর কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হলেও এখনো সমাধান হয়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: সৌমেন চৌধুরী সমস্যার কথা স্বীকার করে জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও ডাক্তার সঙ্কট রয়েছে। সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সরকার ডাক্তার নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে। নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হলে লোকবল সমস্যার সমাধান হবে।
১৯৫৬ সালে কুকুরতারা (গোলাপ নগর) গ্রামের মৃত ওয়াজীর আলীর ছেলে ফাজেল আহাম্মদ উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠাতা করেন। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত কোনো মেরামত বা কোনো ভবন তৈরি করা হয়নি। প্রতিষ্ঠার সময় নাম ছিল ‘ঘিওর ওয়াজীর আলী দাতব্য চিকিৎসালয়’। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আওতায় নিয়ে প্রতিষ্ঠাতার স্মৃতি মুছে ফেলে নাম রাখা হয় ‘ঘিওর উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র’।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা