২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কুমারখালীর গড়ের মাঠ সেতু যেন মৃত্যুফাঁদ

-

কুমারখালী উপজেলার শহরতলী মহেন্দ্রপুর অভিমুখী প্রধান সড়কে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত গড়ের মাঠ ব্রিজটি মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। গত ৮ নভেম্বর আরেকটি দুর্ঘটনা যুক্ত হলো ব্রিজটিতে খড়ভর্তি করিমন পানিতে পড়ে গিয়ে। এভাবে প্রতিদিনই ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটে ব্রিজটির উপর।
প্রতিদিনই ছোটবড় দুর্ঘটনা এখানে নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে প্রশাসন কেন নীরব, কেন দেশে যখন উন্নয়নের জোয়ার বইছে সব জায়গায় কাজ হলেও এই ব্যস্ত ব্রিজটি কেন নতুন করে নির্মিত হয় না? উত্তর পেতে এলজিইডি কার্যালয়ের কুমারখালী উপজেলা প্রকৌশলী মাহাবুব আলমের সাথে আলাপকালে জানা যায়, এ পর্যন্ত তিনবার উল্লিখিত ব্রিজটির টেন্ডার আবেদন করা হলেও কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে না। ৮০ ফুট লম্বা এবং ১৮ ফুট চওড়া ব্রিজটির নির্মাণকাজে ব্যয় বরাদ্দ আছে দুই কোটি তিন লাখ টাকা। তাহলে কেন কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে নাÑ এমন প্রশ্নের উত্তরে জানা গেল, এটা পিসি গার্ডার ক্যাটাগরিতে নির্মাণ করতে হবে; আরসিসি ক্যাটাগরিতে নয়। কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কে গড়াই নদীর ওপর দিয়ে নির্মিত সৈয়দ মাসুদ রুমী সেতু যে পদ্ধতিতে নির্মিত হয়েছে সেই পদ্ধতিতে এই ব্রিজটির নির্মাণ ব্যয় ধরা আছে। যে কারণে ছোটখাটো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যেমন সাহস পাচ্ছে না তেমনি বড় প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসছে না। এভাবেই বছরের পর বছর কাজটি ঝুলে আছে এবং ভোগান্তির শিকার হচ্ছে প্রতিদিন হাজারো মানুষ। মাহাবুব আলম আরো জানান, খুব শিগগিরই আবারো ব্রিজটির টেন্ডার হবে। সচেতন মহল মনে করছেন, তাহলে কি ব্রিজটির সরকারি বরাদ্দ এলে এবারো কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসবে না? নাকি উল্লিখিত ব্রিজটির উপর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটলে সমাধান হবে এমনই প্রশ্ন।

 


আরো সংবাদ



premium cement