২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


কেশবপুরে মাদরাসা অধ্যক্ষকে দিগম্বর করে নির্যাতন : বিচার দাবি স্ত্রীর

-

কেশবপুরের ত্রিমোহিনী দারুল ইসলাম ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল গফুরকে (৫৫) প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে একটি ঘরের মধ্যে আটকিয়ে দিগম্বর করে হাত-পা, চোখ-মুখ বেঁধে ঘণ্টাব্যাপী কাঠ ও রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধরে আহত করার ঘটনায় তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন গত ১৬ মার্চ কেশবপুর প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। এ ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছে ত্রিমোহিনী ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আনিছুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন মাদরাসায় শিক্ষক নিয়োগের যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে গত ১৯/০১/১৭ তারিখে নিয়োগকৃত শিক্ষকেরা যোগদান করেন। ওই নিয়োগের ঘটনায় চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান সাত লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছেন। ওই টাকা না দেয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার লোকজন এমন নির্যাতন করেন। এ ঘটনায় কেশবপুর থানায় ওই ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলার এক আসামি ত্রিমোহিনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কারনিক সামছুর রহমানকে (৪০) পুলিশ আটক করেছে। সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যানসহ তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন। তিনি বলেন, মাদরাসায় শিক্ষক নিয়োগের পর থেকে ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, মুজিবুর রহমান, সামছুর রহমান, মেম্বার আবুল কাশেম মোড়ল গং বিভিন্ন সময়ে নিয়োগের কারণে সাত লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। ওই টাকা না দেয়ায় গত ২৪/০২/১৯ তারিখে অধ্যক্ষকে ইউপি চেয়ারম্যান লাঞ্ছিত করাসহ নিয়োগকৃত শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আব্দুল কাদির বিশ্বাসকে মারধর করেন। এ ঘটনার পর থেকে অধ্যক্ষ ওই চেয়ারম্যানের ভয়ে পালিয়ে মাদরাসায় যাতায়াত করে আসছিলেন। গত ১২/০৩/১৯ তারিখ সকাল ৯টার দিকে মাদরাসায় যাওয়ার পথে মির্জানগর হাম্মামখানার সামনে পৌঁছলে অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল গফুরকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে এলাকার তজিবর রহমানের বাড়িতে আটকিয়ে হাত-পা দড়ি দিয়ে এবং চোখ-মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। এরপর গুরুতর আহতাবস্থায় ফেলে রেখে বাঁধন খুলে দিয়ে চেয়ারম্যানসহ সবাই চলে যান। এরপর আহত অধ্যক্ষ এলাকাবাসীর সহায়তায় কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি হন। এ ঘটনায় ১৪ মার্চ থানায় দোষীদের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। যার নম্বর-১৩। এ মামলা ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য ওই চেয়ারম্যান নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে চলেছেন। এ দিকে ইউপি চেয়ারম্যানের নামে মামলা হলেও তিনি আটক হননি। যে কারণে ওই চেয়ারম্যান বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে চলেছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল গফুরের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান নয়া দিগন্তকে জানান, অধ্যক্ষকে মারধরের বিষয়টি আমি জানি না। আর যে বাড়িতে তাকে মারধর করা হয়েছে সে রাস্তা দিয়ে ওই চেয়ারম্যান যাতায়াত করেন না। তাহলে ওই রাস্তা থেকে তাকে কিভাবে ধরে নির্যাতন করা হলো? অপর এক প্রশ্নে চেয়ারম্যান জানান, তাকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে কি না জানি না। তবে মাদরাসায় সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে কয়েক ব্যক্তি অধ্যক্ষের সাথে কথাবার্তা বলেছেন বলে শুনেছি। তা ছাড়া তাকে মারধর করা বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে এটা মিথ্যা অভিযোগ।


আরো সংবাদ



premium cement
শ্রীনগরে নাতিকে মাদরাসায় দিয়ে ফেরার পথে ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু ইউক্রেনের ১৭টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে রাশিয়া গ্রেফতারের আতঙ্কে নেতানিয়াহু, প্রতিরোধের চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রও চলছে মেসি ঝলক, আবারো জোড়া গোল উল্লাপাড়ায় গাড়িচাপায় অটোভ্যানচালক নিহত থাইল্যান্ড সফর শেষে সোমবার দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী বিপরীত উচ্চারণের ঈদ পুনর্মিলনী ফরিদপুরে ২ ভাইকে পিটিয়ে হত্যায় জড়িতরা অচিরেই গ্রেফতার করা হবে : র‌্যাব মুখোপাত্র ধর্মঘটে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পরিবহন বন্ধ, দুর্ভোগে মানুষ আমাদের মূল লক্ষ্য মানুষকে জাগিয়ে তোলা : গাজা ইস্যুতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা গণতন্ত্রকে চিরস্থায়ীভাবে বাকশালে পরিণত করতেই খালেদা জিয়াকে বন্দী রেখেছে সরকার : রিজভী

সকল