গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন থামছেই না। দিনদিন বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। অথচ এনিয়ে যেন বিশ্বের কোনো মাথাব্যাথা নেই। আর এজন্যয় গাজা ইস্যুতে আন্দোলন করছে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের মূল লক্ষ্য মানুষকে জাগিয়ে তোলা।
রোববার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মুস্তাফা ইওয়েল নামে টেক্সাসের অস্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থী আল-জাজিরাকে বলেছেন যে- তিনি ফিলিস্তিনির ভবিষ্যত নিয়ে আশাবাদী।
তিনি বলেন, ‘আমার বাবা শেরম্যান, টেক্সাসের নাগরিক এবং আমার মা ফিলিস্তিনের নাবলুস থেকে এসেছেন। আমি আমার পুরো জীবন ডালাস, টেক্সাসে বড় হয়েছি, কিন্তু আমি আমার পুরো জীবন ফিলিস্তিনে এবং সেখান থেকে যাত্রা শুরু করেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি উভয় জায়গা পছন্দ করি। আমি যেখান থেকে এসেছি তার জন্য আমি গর্বিত।’
ইউটি অস্টিনের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ইয়োয়েল বলেন যে- ‘তিনি হামাসকে সমর্থন করেন না এবং তাদের বিক্ষোভগুলো ইহুদি বিরোধী বা ইহুদি জনগণের নির্মূলকে সমর্থন করে না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হলো মানুষের চোখ খুলে দেয়া, তাদেরকে জাগিয়ে তোলা এবং ইসরাইলে অর্থ পাঠানো বন্ধ করা। এছাড়া রেথিয়ন এবং লকহিড মার্টিনের মতো যুদ্ধ থেকে লাভবান কোম্পানিগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন করা।’
তিনি আরো বলেন, লোকেরা এখন দেখতে শুরু করেছে এবং আমি এটি সম্পর্কে আশাবাদী। এর আগে কখনো এমনভাবে চোখে পড়েনি। আমার পুরো জীবন দেখছি, লোকেরা কখনোই এটিকে এতটা পাত্তা দেয়নি।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এ সময়ে তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরাইলিকে হত্যা এবং ২৫০ জনকে বন্দী করে। এখনো তাদের কাছে ১৫০ জন আটক রয়েছে।
এদিকে ৭ অক্টোবর ইসরাইল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে যা এখনো চলছে। গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত এ হামলায় ৩৪ হাজার ৩৫৬ ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।
সূত্র : আল-জাজিরা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা