বগুড়ার শিবগঞ্জে সবজির সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার মহাস্থান হাটে শীতকালীন সবজি ফুলকপি এক টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতি মণ ৪০ টাকা, প্রতি পিস এক টাকা। আর বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে মাত্র দেড় টাকায়। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উৎপাদন করা সবজির দাম কৃষক না পেলেও হাত বদলের মাধ্যমে এই সবজি সাধারণ মানুষকে কিনতে হচ্ছে কয়েক গুণ বেশি দামে। খুচরা বাজারে এই কপি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। কৃষকরা জমিতে চাষ করা টাটকা সবজি বিক্রি করতে এসে অনেকটা বাধ্য হয়ে পানির দরে বিক্রি করে বাড়ি ফিরছেন।
মহাস্থান হাটে সবজি বিক্রি করতে আসা কৃষক আশরাফ আলী বলেন, ফুলকপি এক টাকা কেজি, বাঁধাকপি দেড় টাকা পিস দরে বিক্রি করেছি। এই দামে সবজি বিক্রি করায় চালান তো দূরের কথা, ভ্যান ভাড়াও হচ্ছে না। অথচ অনেক টাকা খরচ করে সবজি চাষ করেছি, সে সবজি বাজারে এনে পানির দরে দিয়ে যাচ্ছি। আমরা ন্যায্য দাম না পেলেও খুচরা বাজারে দুই থেকে তিন গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এসব সবজি।
হাটের পাইকারি সবজি ক্রেতা আলী আনছার বলেন, গত কয়েক দিন হাটে ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম পড়ে গেছে। এখন ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। বাঁধাকপির পিস দেড় টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বাঁধাকপি ও ফুলকপির পিস দুই-একটা টাকা হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমদানি বেশি এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সব এলাকায় কপির ফলন ভালো হয়েছে। এক সাথে এসব কপি বাজারে আসায় দাম পড়ে গেছে।
মহাস্থান গ্রামের কৃষক কামরুল বলেন, কপির দাম পড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে বাজারে অনেক নতুন আলু উঠেছে। মানুষ সবজি হিসেবে আলু কিনছেন। এ কারণে কপির দাম নেই।শিবগঞ্জের আলীয়ারহাট গ্রামের কৃষক সুমন বলেন, বাঁধাকপির দাম কম দেখে গরুকে খাওয়ানোর জন্য এক টাকা করে ৫০ পিস কপি কিনেছি। মহাস্থান সবজিহাটের ফড়িয়া বাদশাহ ও রফিক জানান, তারা কৃষকের কাছ থেকে কম দামে সবজি কিনলেও অতিরিক্ত খাজনা, পরিবহন খাতে বেশি ব্যয় ছাড়াও তাদের লভ্যাংশ রাখার কারণে খুচরা বাজারে দুই থেকে তিনগুণ দামে সবজি বিক্রি করতে হয়। মহাস্থান হাট থেকে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ ট্রাক সবজি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়।
মহাস্থান হাটের সবজির আড়ৎ মালিকেরা বলেন, এই অঞ্চলে ব্যাপক সবজিচাষ হয়ে থাকে। এখন ভরা মওসুম। এ কারণে প্রতিদিন দাম কমছে। কাঁচামাল হওয়ার কারণে অনেক সময় বাধ্য হয়েই পানির দরে সবজি বিক্রি করেন কৃষক।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্র জানায়, উপজেলায় শীত মওসুমে ১৫ শ’ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। আর চাষ হয়েছে ১৭ শ’ হেক্টর জমিতে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা