৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দু’জন ডাক্তার দিয়ে চলছে কুয়াকাটা হাসপাতাল : বঞ্চিত রোগীরা

-

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা হাসপাতালে চিকিৎসক সঙ্কটে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। কুয়াকাটাসহ উপকূলীয় চার ইউনিয়নের দুই লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসাসেবার জন্য রয়েছেন মাত্র দু’জন চিকিৎসক। গত ছয় বছরে আসা চিকিৎসকরা প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বদলি হয়ে যাওয়ায় হাসপাতালে লাগাতার চিকিৎসক সঙ্কট বিরাজ করছে। ফলে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা। ডাক্তারসহ জনবল না থাকায় স্বাস্থ্যসেবা নিতে এসে রোগীরা বিপাকে পড়েছেন।
হাসপাতালে দুইজন মেডিক্যাল অফিসার দিয়ে কোনো মতে চলছে চিকিৎসাসেবা। পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় হাসপাতালের বাইরে ও ভেতরে ময়লা জমে আছে। এ হাসাপাতালে চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হলেও বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে তারা অন্য হাসপাতালে বদলি কিংবা ডেপুটেশনে যাচ্ছে। ফলে গরিব ও অসহায় রোগীরা সরকারি চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। হাসপাতালে বৈদ্যুতিক পাখা থাকলেও তা ঘুরছে না। নেই পর্যাপ্ত বাতি। বিদ্যুৎ চলে গেলে কোনো আলোর ব্যবস্থা থাকে না।
২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই হাসপাতালের উদ্বোধন করেন। উপকূলীয় এলাকার হাজার হাজার মানুষ ও কুয়াকাটায় আসা ভ্রমণপিপাসুদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে হাসপাতালটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু উদ্বোধনের পর থেকেই জনবল সঙ্কটে পড়ে।
২০ শয্যার এ হাসপাতালে কাগজেকলমে এমবিবিএস ডাক্তার ছয়জন, নার্স পাঁচজন, ওয়ার্ডবয় দুইজন, এমএলএসএস একজন, ঝাড়–দার একজন, মালি একজন, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট একজন, ল্যাব সহকারী একজন, ফার্মাসিস্ট একজন, অফিস সহকারী একজন ও কুক একজন থাকার কথা রয়েছে।
কিন্তু কর্মরত আছেন এমবিবিএস ডাক্তার দুইজন, নার্স তিনজন, ঝাড়–দার একজন, কুক একজন, অফিস সহকারী একজন করে থাকলেও মালি, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, ল্যাব সহকারী, ফার্মাসিস্ট পদ শূন্য রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রোগীরা জরুরি প্রয়োজনে হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোর চিকিৎসা সেবা না পেয়ে তাদের ২২ কিলোমিটার সড়ক পাড়ি দিয়ে কলাপাড়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনে প্রয়োজনীয় ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন গর্ভবতী মা ও শিশুরা। এ ছাড়া রোগীদের আলট্রাসনোগ্রাম, এক্স-রে, রক্ত পরীক্ষা বাইরে থেকে করতে হয়।
কুয়াকাটা হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক মনিরুজ্জামান মনির বলেন, দুইজন ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা দিতে আমাদের হিমসিম খেতে হয়। ডাক্তারসহ জনবল না থাকায় স্বাস্থ্যসেবা নিতে এসে রোগীরা বিপাকে পড়ছেন।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: চিন্ময় হাওলাদার বলেন, কুয়াকাটা হাসপাতালে ডাক্তারসহ জনবল সংঙ্কট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা বলছেন ৩৯তম বিসিএস পরীক্ষায় রেজাল্ট দেয়া হলে কুয়াকাটা হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement