৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সাতকানিয়ায় শঙ্খ ও ডলু নদীর ভাঙন অব্যাহত আমিলাইশ ইউনিয়নে অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি বিলীন

শঙ্খ নদীতে বিলীন হওয়ার মুখে সাতকানিয়া উপজেলার আমিলাইশ ইউনিয়নের একটি বসতবাড়ি : নয়া দিগন্ত -

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় শঙ্খ ও ডলু নদীর অব্যাহত ভাঙনে প্রতি বছর অনেক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ছে। চলতি বর্ষা মওসুমে অব্যাহত বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার আমিলাইশ ইউনিয়নে অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি ও অনেক ফসলি জমি শঙ্খ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়াও শঙ্খ ও ডলু নদী তীরবর্তী কয়েক শ’ বাড়ি ও আবাদি জমি নদী ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, অতীতে কোনো সরকারই ভাঙন রোধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে প্রতি বছর নতুন নতুন এলাকা ও ঘরবাড়ি শঙ্খের করালগ্রাসে হারিয়ে যাচ্ছে। আর গৃহহীনদের তালিকায় যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন নাম।
আমিলাইশ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ছরওয়ার উদ্দীন চৌধুরী বলেন, কয়েক দিনের অব্যাহত বর্ষণে আমিলাইশ ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানেও শঙ্খ নদীর দুই পাড়ের কয়েক শ’ বাড়ি নদীতে বিলীন হওয়ার পথে রয়েছে।
এদিকে বিগত এক সপ্তাহের অব্যাহত বর্ষণে উপজেলার আমিলাইশ ইউনিয়নের পূর্ব আমিলাইশ ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রাহাত্তার বউবাড়ি, পেন্ডির বাড়ি, আনুর বাড়ি, নজির আহমদ মুন্সির বাড়ি ও কালুর বউবাড়ি এলাকার জমির আহমদ, ছরওয়ার, জাফর হোসেন, মোহাম্মদ হানিফ, নুরুল আলম, মোহাম্মদ মুসা, গিয়াস উদ্দিন, জয়নাল ও আবু আহম্মদের বসতবাড়িসহ অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। যার মধ্যে ১৬টি পাকা বাড়ি, সেমিপাকা ও কাঁচাবাড়িসহ ৫০-৬০টি বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
গত এক সপ্তাহের অব্যাহত বর্ষণে বসতবাড়িসহ সর্বস্ব হারানো অনেকে অশ্রুভেজা কণ্ঠে বলেন, শঙ্খের পাড়ে কোনো রকম খেয়ে-না-খেয়ে অনেক কষ্টে বাপ-দাদার রেখে যাওয়া বসতভিটায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোনো রকম দিন কাটাচ্ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে অব্যাহত বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় মাথা গোঁজার একমাত্র সম্বল বসতঘর শঙ্খের ভাঙনের কবলে পড়ে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ বছর অনেকের ভিটার চিহ্নটুকুও হারিয়ে গেছে।
বাড়িঘর হারানো অনেকে জানান, তাদের সরকারিভাবে কখনও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়নি। সরকার ঘরবাড়ি হারানো অসহায় মানুষকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করলে সবাইকে পথে পথে দিন কাটাতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement