০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


আমার জৌলসতা

-

আমি বসে আছি নদীর পারে বাজারের একটা দোকানের বেলকনিতে চেয়ার পেতে। সময় বড়ই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়ে আমার। ঠায় মিলছে না কোথাও। কঠিন সব সমস্যায় ডুবে যাচ্ছে আমার মগজ। সমাধান মেলাতে পারছি না কোনোভাবেই। সকালে সবার আগে বাজারে এসেছি। সেলিম ভাইয়ের দোকানে বসে কাটিয়েছি বাজার বেলা। দুপুরে বাড়ি গেছে সব দোকানদার। নীরব নিস্তব্ধ বাজার। সেলিম ভাই বাড়ি যাওয়ার সময় ৫ টাকা পকেটে পুরে দিয়ে বলেছে ভ্যানে করে বাড়ি যেতে। আমার ভালো লাগেনি। দেড়টা থেকে চারটা পর্যন্ত বসে রয়েছি ওখানেই। এরমধ্যে বেশ কয়েকবার বিড়ির নেশাটা চেতেছিল খুব। পকেটের টাকাটা নেশার রেশ বাড়াচ্ছিল। কাছে টাকা না থাকলে নেশা একটু বেশিই বাড়ে। কয়েকবার বিড়ি কেনার নিয়তে উঠে ব্যর্থ হলাম। সব দোকান বন্ধ তখনও। দোকানদারদের বেশ উন্নতি হয়েছে রুচিতে। হবেই না বা কেন। দোকান দ্যাখালেই হাজার হাজার টাকা লোন দিয়ে যায় এনজিওগুলো। লোনের কথা মনে উঠতেই শোক আরো বেড়ে গেল আমার। বড় আশা ছিল লোনটা হলে মুরগির খামার করব। সংসারের ভারটা নিজের কাঁধে নেবো। দায়িত্ববান হয়ে প্রতিটি কাজ করব। তা আর হলো কই। লোনটা হবে না জানিয়ে দিয়েছে সকালে। ওদিকে চার হাজার টাকার দেনা আমি। দেনাদারদের ঠেকিয়ে রেখেছি এই লোনের কথা বলে। একটা বিয়ের ভিডিও ধরেছিলাম হাজার পাঁচেক টাকা দিতে চেয়েছিল। সকালেই ফোন করে জানালো বিয়েটা ভেঙে গেছে। এর পর থেকে নিজেকে আরো বেশি অপরাধী মনে হচ্ছে কেন জানি। মনে হচ্ছে বেচারীর বিয়েটা ভেঙেছে নিশ্চিত আমাকে তার বিয়ের সাথে যুক্ত করার জন্য। আমার পৃথিবী ক্রমেই সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। কিন্তু করতে পারছি না কিছু। ঘরে ফাইলে জমে থাকা সনদগুলো আমার কষ্টের তীব্রতা বাড়াচ্ছে ক্ষণে ক্ষণে।
শালিখা,মাগুরা


আরো সংবাদ



premium cement