২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


নিউজিল্যান্ডে ভালো করবে পেসাররা

-

আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফরের উইকেট হবে বাউন্সি। সেখানে পেসারদের দিতে হবে অগ্নিপরীক্ষা। আশার বাণী শোনালেন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত ফিল্ডিং কোচ মিজানুর রহমান বাবুল, ‘নিউজিল্যান্ডে পেসবান্ধব উইকেট থাকে। বাংলাদেশের সেরা পেস ইউনিটই যাচ্ছে। তাসকিন যাচ্ছে, এবাদত দিন দিন উন্নতি করছে। শহিদুল আছে শরিফুল আছে। খালেদ তো এই ম্যাচেও খেলছে। আশা করছি ছেলেরা ওখানে ভালো বোলিংই করবে। রেকর্ড যদিও অন্য কিছু বলে, তবে আমি আশা করি ভালো হবে।’
বাংলাদেশের উইকেট মানেই স্পিন সহায়ক মন্থর উইকেট। পেসারদের জন্য নিষ্প্রাণ। অথচ পাকিস্তানিদের ক্ষেত্রে উল্টো। তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজে বাংলাদেশে হারানো ২১ উইকেটের ১৩টিই পেসারদের দখলে। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে সফরকারী পেসাররা নিয়েছেন ১৬ উইকেট। অথচ বিপরীত অবস্থান বাংলাদেশি পেসারদের। চট্টগ্রাম টেস্টে মাত্র দুই উইকেট পেয়েছেন পেসাররা। মিজানুর মনে করেন, ‘এখানেই পিছিয়ে স্বাগতিক পেসাররা। পাকিস্তানি পেসারদের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তি কিছু করতে গিয়েই সুবিধা করতে পারছেন না এবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদরা।’
তিনি যোগ করেন, ‘তবে একেক দেশে একেক রকম। আমাদের স্পিনাররা পেসারদের চেয়ে এগিয়ে থাকে। পাকিস্তানের পেসাররা ডমিনেট করছে। তাদের সাথে তুলনা করলে আমাদের পেসাররা মানসিকভাবে পিছিয়ে যাচ্ছে। ভালো না করার এটাও একটা কারণ হতে পারে।’
অবশ্য সাফাইও গাইলেন, ‘দ্বিতীয় দিনে প্রথম বলে চার হয়েছে। পয়েন্ট পেছনে ছিল, অফ স্টাম্পেই বেশি ফিল্ডার ছিল। ভালো বোলিং করা হয়নি আর কী। আবহাওয়া আমাদের অনুকূলে ছিল। ওই অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারিনি- এটাই বাস্তবতা। তবে স্পিনাররা বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে পার করে দিচ্ছেন।’
টি-২০ বিশ্বকাপে ভরাডুবি ও ঘরের মাঠে পাকিস্তানের কাছে নাকানি চুবানি খেয়ে দলের অবস্থা নড়বড়ে। তা ছাড়া নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট জয় দূরের কথা, প্রায় প্রতিটি ম্যাচই বাজেভাবে হেরেছে। ৯ ডিসেম্বর নিউজিল্যান্ডগামী দল ঘোষণার এক ঘণ্টার মধ্যে বিশেষ কারণ দেখিয়ে সফরে না যাওয়ার জন্য চিঠি দেন সাকিব। মিজানুর রহমান বাবুলের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, সাকিবের এই চিঠি ড্রেসিংরুমে কতটা প্রভাব ফেলেছে?
মিজানুর বলেন, ‘সাকিব যাবে কি যাবে না সেটা তার ও বোর্ডের ব্যাপার। ওই বিষয়গুলা মূলত দলে কোনো প্রভাব ফেলে না। কারণ অন্যরা নিজেদের ও দলের পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তা করে। যদি কেউ না যায়, তাকে নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ নেই। সাকিব বা অন্য ভালো ক্রিকেটাররা যদি সফরে যায়, তবে অবশ্যই দলের শক্তি বাড়ে। যদি না যায়, তাহলে যারা যাবে তাদের নিয়ে আমরা জেতার জন্যই যাব। যদি আগেই অন্য মানসিকতা নিয়ে বিদেশ সফরে যাই, তাহলে ভালো কিছু আনার প্রশ্নই আসে না।’


আরো সংবাদ



premium cement