১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলকদ ১৪৪৫
`


ট্যালেন্ট হান্টে ৮০ লেগ স্পিনার

-

বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ বলেছেন, ‘ওয়ানডে ক্রিকেটে লেগ স্পিনার খুবই প্রয়োজনীয়। আপনাকে মধ্য ওভারগুলোতে রান আটকে উইকেট নিতে হবে। এজন্য আপনার বৈচিত্র্যপূর্ণ স্পিনার প্রয়োজন।’
এ উপলব্ধি অনেক আগে হলেও তোড়জোর ছিল কম। দেরিতে হলেও লেগ স্পিনার তুলে আনার উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি। সারা দেশে অভিযান চালিয়ে বিসিবি খুঁজে পেয়েছে ৮০ লেগ স্পিনার। মুশতাকের আগেই স্পিন কোচ হিসেবে বিসিবিতে নিয়োগ পেয়েছেন পাকিস্তানের শাহিদ মাহমুদ। গত বছর অক্টোবরে গেম ডেভেলপমেন্টের লেগ স্পিন কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় তাকে। মূলত তার কাজই ছিল সারা দেশ থেকে প্রতিভাবান লেগ স্পিনার খুঁজে বের করা।
গত ছয় মাসে দেশের ৬৪ জেলা থেকে ঘুরে ঘুরে হান্ট করে ১০০ জন লেগ স্পিনারের একটা তালিকা করেছেন শাহিদ। সেখান থেকে ট্রায়ালে ডাকা হয়েছে ৮০ জনকে। আগামী ৩ ও ৪ মে মিরপুরের একাডেমি মাঠে ট্রায়াল হবে। বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ম্যানেজার আবু ইমাম মোহাম্মদ কাওছার জানান, ‘ট্রায়াল থেকে ২০ জনকে সংক্ষিপ্ত তালিকায় রাখা হবে। তিন সপ্তাহের স্কিল ক্যাম্পের পর ১২ থেকে ১৫ জন নিয়ে দীর্ঘমেয়াদে পরিকল্পনা নেয়া হবে।’
গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘গেম ডেভেলপমেন্ট থেকে শাহিদ মাহমুদ আট মাস ধরে লেগ স্পিনার কোচ হিসেবে আছেন। ৮০ জনকে আমরা নির্বাচন করেছি। শাহিদ কিন্তু বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে গিয়েছে। আমরা দুই স্তরে ২০ জনকে বাছাই করব।’
লেগ স্পিনারদের সাফল্যের জন্য ধৈর্য রাখার কথাও বললেন খালেদ মাহমুদ, ‘এখনো ঢাকা প্রিমিয়ার লেগে খেলার মতো স্ট্যান্ডার্ডে অনেকে যেতে পারেনি। আরেকটা বড় কারণ হলো ক্লাব ক্রিকেটে কেউ লেগ স্পিনার খেলাতে চায় না। লেগ স্পিনার তো একটা বাজে বল করলে ছক্কা হজম করে এটা ম্যানেজমেন্ট মানতে পারে না। টিম অফিসিয়ালদের বুঝতে হবে একজন লেগ স্পিনার একটা ম্যাচ উইনার।’
স্কুল ক্রিকেটের শিক্ষাবৃত্তি পেলেন ১৫ জন
বিসিবির আয়োজনে প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেটে দুই বছর আগে যোগ হয় নতুন মাত্রা। বাছাইয়ের পর প্রতি বছর প্রাইম ব্যাংকের পক্ষ থেকে দেশসেরা ১৫ জন ক্রিকেটারকে দেয়া হয় শিক্ষাবৃত্তি। সে ধারাবাহিকতায় এবার বিসিবির স্কুল ক্রিকেটের শিক্ষাবৃত্তি পেলেন ১৫ জন। গতকাল মিরপুরে ২০২২-২৩ মৌসুমের প্রাইম সেরা ক্রিকেটারের হাতে শিক্ষাবৃত্তির অর্থ (৬০ হাজার টাকা) তুলে দেন প্রাইম ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিম এ চৌধুরী।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন বিসিবির পরিচালক ও গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন ও পরিচালক ফাহিম সিনহা।
স্কুল ক্রিকেট দিয়ে জাতীয় পর্যায়ে উঠে এসেছে অনেক ক্রিকেটার। এক সময়ে নির্মাণ স্কুল ক্রিকেট ছিল। এখন প্রাইম ব্যাংক সেই কাজটা করে যাচ্ছে। তাদের ধন্যবাদ দেন সুজন, ‘স্কুল ক্রিকেটে অনেক প্রতিভা আছে। তাদের আমরা তুলে এনে পরিচর্যা করি। কোনো বছর পাঁচজন, কোনো বছর চারজন খেলোয়াড়কে আমরা বয়সভিত্তিক দলে পাচ্ছি। সুযোগ পাচ্ছে তারা খেলার। এ ছাড়া বাকিরা বিভাগীয় দলগুলোতে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে খেলছে।’
প্রাইম ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিম এ. চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটের পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতে বিসিবির উদ্যোগের পাশে থাকতে পেরে আমরা গর্বিত। প্রাইম ব্যাংক স্কুল ক্রিকেটের অনেকেই এখন জাতীয় পর্যায়ে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে। অনেকেই পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ক্রিকেটের পাশাপাশি সেরা ক্রিকেটাররা যেন পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন সেই কারণেই শিক্ষাবৃত্তি চালু করা হয়েছে।’
জাতীয় স্কুল ক্রিকেটের সাথে ২০১৫ সাল থেকে জড়িয়ে আছে প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড। প্রতি বছর সারা দেশের প্রায় ১২ হাজার ক্ষুদে ক্রিকেটার অংশ নেয় এই ক্রিকেট আসরে। দেশের ৩৫২ স্কুলের অংশগ্রহণে সম্পন্ন হয়েছে জেলা পর্যায়ের ৫৭৯ ম্যাচ। জেলা চ্যাম্পিয়নরা এবার অংশ নেবে বিভাগীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে। বিভাগীয় পর্যায়ের ৫৭ ম্যাচ শেষে সাত বিভাগের চ্যাম্পিয়ন দল অংশ নেবে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল