০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


কোচ নিয়োগে পরিবর্তন চান মাশরাফি

-

কিপিং নিয়ে কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর ভাগাভাগি তত্ত্ব পছন্দ হয়নি সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার। এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন তিনি। মুশফিক টি-২০ কিপিং থেকে অবসর নেয়ার পর বিসিবির উপরই চটেছেন মাশরাফি। প্রশ্ন তুললেন কোচ নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে।
বিদেশী কোচদের প্রাধান্য দেয়ার সংস্কৃতিটা বেশ পুরনো। এখন পর্যন্ত টাইগারদের দায়িত্ব নেয়ার সুযোগ হয়নি কোনো দেশী কোচের। অল্প ক’জন ভারপ্রাপ্ত হিসেবে কিছুদিনের জন্য দায়িত্ব পালন করেছেন। বিদেশী কোচদের নিয়ে আপত্তি না থাকলেও বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতি এবং ক্রিকেটারদের নিয়ে বুঝতে পারার সক্ষমতা থাকা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
মাশরাফির দাবি, নিয়োগের সময় বিসিবির লক্ষ্য থাকে কোচের প্রোফাইল কতটা সমৃদ্ধ। নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশের কোচ নিয়োগের প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে লম্বা একটি পোস্ট মাশরাফি লিখেছেন, ‘কোচ নিয়োগের সময় যে ইন্টারভিউ নেয়া হয়, সেখানে আসলে তাকে কী প্রশ্ন করা হয়? নাকি শুধু জানতে চাওয়া হয়, তোমার কী কী করার ইচ্ছা। হয়তো তখন সে কিছু পয়েন্ট তুলে ধরে। ওখান থেকে নতুনত্ব কিছু পেলে চিন্তা করা হয় এবং বলা হয় দারুণ কোচ। আমার মনে হয়, ভুল ওখানেই হয়ে যায়। হাই প্রোফাইল কোচ খুঁজি, যা পরে আর কোনো কাজে আসে না।’
মাশরাফি মনে করেন, ‘আমাদের প্রয়োজন, আমাদের ক্রিকেট যে ফলো করে বা আমাদের বেশির ভাগ খেলোয়াড়কে নিয়ে স্টাডি করে এসে ইন্টারভিউ দিচ্ছে এরকম কোচ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আমাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা নিয়ে আসা। তা না হলে তো সে বুঝবইে না, একজন সাকিব, তামিম, মুশফিক, রিয়াদ তৈরি করতে কত দিন লেগেছে, বা অতীতে তাদের অবদান কী, একজন মোস্তাফিজ কিভাবে উঠে এসেছে।’
তিনি যোগ করেন, ‘বারবার বলেছি, আবারো বলছি, দলের আগে কখনোই কোনো খেলোয়াড় হতে পারে না। ভালো না করলে বাদ পড়তেই হবে। অফ ফর্ম সব খেলোয়াড়ের জীবনেই যায়। বাদও পড়ে। কিন্তু ম্যানেজমেন্ট থেকে অপমানিত শুধু আমাদের দেশেই বেশি হয়। পারফর্ম না করলে বাদ দেবেন স্বাভাবিক। পরে তাকে তো সহযোগিতা করতে হবে, কিভাবে ফর্মে আনা যায় বা তাকে মেন্টালি কিভাবে সাপোর্ট করা যায়। কোনো কোচই কাজ করার আগে আমাদের দেশের ক্রিকেটের ফলোয়ার থাকে না। চাকরির জন্য আসে, শেষ হলে চলে যায়।’
নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে মাশরাফির পর্যবেক্ষণ, ‘এ পর্যন্ত প্রায় ৯-১০ জন কোচের সাথে কাজ করেছি আমি। প্রত্যেকটা কোচ তার নিজের মতো করে কাজ শুরু করে, যেটা স্বাভাবিক। কারণ একেকজনের কাজের ধরন একেকরকম। কিন্তু সব সময় দেখেছি, প্রত্যেক কোচ তার নিজস্ব একজন বা দুইজন প্রিয় খেলোয়াড় বানিয়ে নেয়। পরে সিলেক্টর, ক্যাপ্টেন বা অন্য কেউ তাকে আর কিছুই বুঝাতে পারে না। বরং সম্পর্কগুলো জটিল হতে থাকে।’


আরো সংবাদ



premium cement
ভিক্ষাবৃত্তির উদ্দেশ্যে শিশু অপহরণের একমাস পর উদ্ধার, এক দম্পতি গ্রেফতার আইসিজেতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সমর্থন দেবে তুরস্ক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম লক্ষ্য সিরিজ জয় : শান্ত পেকুয়ায় বজ্রপাতে ২ লবণশ্রমিকের মৃত্যু গাজীপুরে নিখোঁজ পোশাকশ্রমিকের লাশ উদ্ধার চলচ্চিত্রে সমস্যা ও উত্তরণে গোলটেবিল বৈঠক হ্যাটট্রিক হারে সিরিজ হাতছাড়া বাংলাদেশের নয়া দিগন্তে সংবাদ প্রকাশে বন্ধ হলো সেই বিলের মাটি কাটা বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় বৃত্তি বাড়াতে আগ্রহী রাশিয়া উখিয়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশী ১০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে জামায়াতের উদ্বেগ

সকল