১৭ মে ২০২৪, ০৩ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫
`


আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে জামায়াতের উদ্বেগ

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে জামায়াতের উদ্বেগ - ছবি : নয়া দিগন্ত

দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

বৃহস্পতিবার দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক বৈঠক এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

বৈঠকে বলা হয়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, দেশব্যাপী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই। প্রশাসনের ছত্রছায়ায় আওয়ামী দলীয় লোকেরা হত্যা, গুম-খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, জমি ও ঘর-বাড়ি দখল, ছিনতাই, ঘুষ-দুর্নীতিসহ হেন কোনো অপরাধ নেই, যা তারা সংঘটিত করছে না। দেশের নাগরিকগণ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। সরকার পুলিশ প্রশাসনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার কারণে পুলিশ অপরাধ নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।

বৈঠকে আরো বলা হয়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ গভীর উদ্বেগের সাথে আরো লক্ষ্য করছে যে, দেশে সুশাসন না থাকায় এবং অপরাধের বিচার না হওয়ায় অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি ফরিদপুরের মধুখালীতে একটি মন্দিরে আগুন লাগাকে কেন্দ্র করে কোনো রকম তদন্ত ও প্রমাণ ছাড়াই দুই মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ঘটনার প্রতিবাদে ফরিদপুরে সর্বস্তরের মানুষ মানববন্ধন কর্মসূচি পালনকালে পুলিশ তাদের উপর গুলিবর্ষণ করে। ফলে বহু লোক আহত হয়।

সরকার ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরায় ক্ষমতা দখল করে নতুন স্টাইলে বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করছে। গত এপ্রিল মাসে রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর মহানগরী, নীলফামারী ও রাজশাহী মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৩৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। রাজশাহীর আদালতে জামায়াত নেতৃবৃন্দ হাজিরা দিতে গেলে রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারিসহ ১০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। আদালত অঙ্গন থেকে এ ধরনের গ্রেফতার নজিরবিহীন, ন্যক্কারজনক এবং আদালত অবমাননার শামিল।

নির্বাহী পরিষদ আরো লক্ষ্য করছে যে, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বেপরোয়া কিশোর গ্যাঙ তথা কিশোর অপরাধীদের দৌরাত্ম্য সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করছে। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে সারা দেশের গ্রাম পর্যন্ত কিশোর গ্যাঙ খুন, ধর্ষণ, মাদক চোরাচালান, মাদক সেবনসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। সরকার এবং সরকারি দলের লোকদের পৃষ্ঠপোষকতার কারণেই দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে এবং সমাজ জীবনে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রেখে মানুষের জানমাল, ইজ্জত-আব্রুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তি প্রদান এবং ফরিদপুরের মধুখালীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement
প্লে-অফের ১টি জায়গার জন্য লড়াইয়ে ৩ দল, ধোনি, কোহলি, রাহুলদের কে পাবেন টিকিট? ফরিদগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের আত্মহত্যা মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পে ৫২ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে কেন? মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন কুয়েতে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত রাফা অভিযান : ইসরাইলকে সতর্কবার্তা ১৩ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘অজানা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের’ পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্র আবা‌রো ৪০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই নির্বাচনের পরেও সে কথাই বলেছে যুক্তরাষ্ট্র : ড. মঈন খান ভালুকায় বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫ সর্বোচ্চ আয় করা খেলোয়াড় রোনালদো, মেসির অবস্থান কোথায়? ৩৬ বছর শিক্ষকতার পর রাজকীয় বিদায়

সকল