০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


আগডুম-বাগডুম : কবিতা

-

বিষ্টি আসে আসুক
রফিকুল নাজিম

ডোবার জলে ব্যাঙের দলে ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ডাকে,
বিষ্টি জলে শালিক জোড়া ভিজে পাতার ফাঁকে।
গাঁয়ের মাঠে খালে বিলে জলের গড়াগড়ি,
নয়া বউটা হাঁটতে গিয়ে- আহা! পড়িপড়ি।

দস্যি ছেলে নয়া জলে পিছলি খেলে ঘাটে
এমনি করে ছেলেবেলা দারুণ মজায় কাটে।
দাওয়ায় বসে গপ্পো গানে কাটে অলস বেলা,
মায়ের বোনা নকশিকাঁথায় বসে কথার মেলা।

বানের জলে ভরলে নদী বউ-ঝিয়েদের আশা
নাইওর যাবে বাপের বাড়ি ডিঙি নাওয়ে ভাসা,
আলতা চুড়ি শাড়ির ভাঁজে নয়া বিয়ের গন্ধ
বিষ্টি আসে বিষ্টি আসুক; বিষ্টি তো নয় মন্দ!

 

 

 

আর্জি
নুশরাত রুমু

আল্লাহ্ আল্লাহ্ জিকির করি
হৃদয়টাকে ভরে
পাপের ক্ষমা চাইছি আমি
একা নীরব ঘরে।

তামাম জাহান গড়লে তুমি
ভালোবাসার দানে
সৃষ্টি সেরা করলে মানুষ
বিবেক দিয়ে প্রাণে।

দিনে আলো রাতে আঁধার
আসে সময় গুনে
চন্দ্র-সূর্য ওঠে তারা
তোমার আদেশ শুনে।

আকাশ থেকে বৃষ্টিধারা
ঝরে ধরার বুকে
ফসল ফলাই তারই জলে
থাকি কত সুখে।

তোমার কথা মানার শক্তি
দিও চলার পথে
শোকর যেনো করি সদা
তোমার নেয়ামতে।

 

 

স্বাধীনতার ইতিকথা
এম. আবু বকর সিদ্দিক

স্বাধীনতার পাখি আমি
উড়বো ডানা মেলে,
মন খুশিতে গানে গানে
ঘুরবো হেসে খেলে।

স্রোতের ধারায় ঢেউয়ে ঢেউয়ে
করব আমি খেলা,
নদীর মাঝে বাধা বিহীন
কাটবে আমার বেলা।

পাহাড় থেকে ঝরনা হয়ে
নামবো আপন পথে,
সুরে সুরে কুলুকুলু
চলব নিজের মতে।

আমার চলা বলার পথে
দাও যদি কেউ বাধা,
সে তো স্বাধীনতার শত্রু
দেশ বিরোধীর দাদা।

 

 


ইঁদুর ছুঁচো
শাজাহান কবীর শান্ত

ইঁদুর বলে ছুঁচো
বাচ্চা তুমি কুচো
ফালতু অমন নামটা এবার
এখন থেকে মুছো!

ছুঁচো বলে আরে!
ঘুষি দেবো ঘাড়ে!
খুকুর খাবার খেয়ে মেজাজ
খুব করে তোর বাড়ে?

 

 

অভিমান
আহসান হাবিব সিরাজী

ফুল কাননে ফুল দিয়েছো
গাছের শাখে ফল,
তৃষ্ণা মেটার জন্য দিছো
নদী ভরা জল।

পাখির কণ্ঠে দিলে তুমি
মিষ্টি মধুর গান,
কুঞ্জবনে ডাকলে সে যে
জুড়ায় সবার প্রাণ।

পাহাড়-পর্বত নদী সাগর
মাঠে ভরা ধান,
সবুজ-শ্যামল বৃক্ষলতা
সবই তোমার দান।

সকল কিছুর স্রষ্টা তুমি
খোদা মেহেরবান,
তবু কেনো আমরা সবে
করি অভিমান।

 

 

অদৃশ্য
ফরিদ আহমদ ফরাজী

প্রাণির দেহে প্রাণ দিয়েছেন
জগৎজুড়ে ঘ্রাণ দিয়েছেন
প্রাণটা কেমন বলতে পারো
বেঁটে লম্বা পাতলা গাঢ়?
ঘ্রাণটাও যে যায় না দেখা
নাকে নিয়েই বলতে শেখা

মনটা কি কেউ দেখছো ভাই?
মনের কি অস্তিত্ব নাই?
মনের রঙটা লাল? নাকি নীল
আকাশ সম? ক্ষুদ্র কি তিল?
নেটজগতের গিবাবাইট
দেখছো কি কেউ গিগাবাইট?
টেরাবাইট সে তরল নাতো?
ধুত্তুরি ছাই কী সব যা তো!

অনেক কিছু বিশ্বে আছে
দৃশ্যে না অদৃশ্যে আছে
সময়টাও যায় না দেখা
বুঝতে পারি আছে লেখা

 

 


খুকুর কান্না
নকুল শর্ম্মা

রাগ করেছে খুকুমণি
মুখ করেছে ভারী,
কে ভেঙেছে দাদুর দেয়া
সখের খেলনা গাড়ি?

বিলেত থেকে আনলো দাদু
কতো যতœ করে,
সাধ্যি কি আর হবে কারো
দেবে আবার গড়ে?

তাইতো খুকু ভাত খাবে না
বলবে না আর কথা,
হাসবে না আর চিরুন দাঁতে
মনে অনেক ব্যথা।

কাঁদছে খুকু দাদু বলে
বলছে না আর কিছু,
বসে আছে একা একা
মাথা করে নিচু।


আরো সংবাদ



premium cement