০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


আগডুম বাগডুম : কবিতা

-

আগের রূপে ঢাকা
এইচ এস সরোয়ারদী

ঈদের মধ্যে কেমন ছিল ঢাকা
রাস্তা-ঘাট সবই ছিল ফাঁকা।

আস্তে আস্তে ফিরছে ঢাকার রূপ
যানজট আর গাড়ি-ঘোড়া
বাড়ছে আবার খুব।

খুলছে অফিস, বাড়ছে মানুষ
বাড়ছে চলাচল
অলি-গলি, বাজার ঘাটে
বাড়ছে কোলাহল।

বাড়ছে মশা, বাড়ছে মাছি
বাড়ছে গাড়ির চাকা
বাড়তে বাড়তে আগের রূপে
ফিরছে আবার ঢাকা।

 

দুরন্ত বৈশাখে
আলমগীর কবির

আকাশ ছিল আলোয় ভরা মেঘে গেলো ঢেকে,
এক নিমিষে চোখের পাতায় কাজল নিলো মেখে।

হাওয়ার ডানায় উড়তে উড়তে হঠাৎ করে থামে,
মাটির টানে বৃষ্টি হয়ে ঝমঝমিয়ে নামে।

দমকা হাওয়ায় টিনের চালে আম পড়েছে কতো
আম কুড়াতে ব্যস্ত গাঁয়ের দস্যি ছেলে যতো!

ভাগ করে আম ফিরে সবাই যে যার মতো বাড়ি,
আম দেখে আজ মিষ্টি বোনের ভাঙে সকল আড়ি।

ঝিনুক দিয়ে আম কেটে খায় পায় আনন্দ কী যে!
মা বকে যান ফিরবি বাড়ি আর কখনো ভিজে?
খানিক পরে গা মুছে দেন গামছাতে মা নিজে।

 

মা
সফিউল্লাহ লিটন

সকাল-সাঁঝে মায়ের কথা
খুবই মনে পড়ে
জানি না মা কেমন আছে
ছোট্ট মাটির ঘরে।
মায়ায় ভরা মুখখানি তার
দেখেছিলেম কবে
ওমন মুখ কি পাবো খুঁজে
আর কখনো ভবে?
মা ছিল এক অমূল্য ধন
প্রাণের চেয়েও দামি
তাকে ছাড়া বৃথা জীবন
কাটাই দিবসযামী।
মা যে আমার সেই যে গেল
আর এলো না ফিরে
তাঁকে আমি আজো খুঁজি
লাখো মুখের ভিড়ে।
সন্তানেরই দোয়া নাকি
যায় না বৃথা কভু
বেহেশতবাসী করুন মাকে
ওগো মহান প্রভু।

 


আজকে বুবুর বিয়ে
এম এইচ মুকুল

আজকে বুবুর বিয়ে হবে
লাল টুকটুক শাড়িতে,
বাজবে সানাই আনন্দেতে
বর কনের বাড়িতে।
নাকে নোলক ঝুমকোলতা
হাসবে তাঁর কানেতে,
বাজবে চুড়ি রিনিঝিনি
আজ খুশির বানেতে।
কত মানুষ আসবে যাবে
তাঁর বিয়ের দাওয়াতে,
রান্না হবে কুরমা পোলাও
দই থাকবে খাওয়াতে।
পাগড়ি মাথায় আসবে যে বর
মুখ ঢাকবে লাজেতে,
বরতে যাবে বরকে সবাই
খুব খুশির মাঝেতে।
বুবু যাবে শ্বশুরবাড়ি
তাঁর সংসার সাজাতে,
কাঁদিসনারে বুবু আমার
ঠিক আসবো হাসাতে।

 

ছবি আঁকি
আরিফ বিল্লাহ

নদীর ধারে বসে যে আঁকি,
বাঁকা নদীর ছবি যে আঁকি।
নদীর ঢেউ ও নৌকা আঁকি
রাস্তা-ঘাট ও মানুষ আঁকি।
শস্য-শ্যামল প্রকৃতি যে
মাঠ ভরেছে সোনার ধানে।
চারপাশে আছে যত কিছু,
মনে মনে আঁকি সব কিছু।
ভালোবেসে প্রকৃতিকে আঁকি,
বাংলা মায়ের ছবি আঁকি।

 

খেঁকশিয়ালের মেলা
শাহীন পরদেশী

সন্ধ্যা নেমে আসার পরে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক
খানিকটা পথ গিয়ে দেখি খেঁকশিয়ালের হাঁক।
হোয়া হোয়া ঘুম কেড়ে নেয় কানাই বাবুর চোখ
রাত্রি জেগে থাকার ফলে শ্যামল দেহে রোগ।

কি করে আর ভেবে চিন্তে কান্নাকাটির বেলা
রাত্রি এখন উদাস দুপুর খেঁকশিয়ালের মেলা।
কানাই বাবু চিৎপটানে বিছানা দিলো আড়ি
ঘুমের রাজা কাতুর এসে সজোরে দেয় ঝাড়ি।

চিন্তা করে শুঁকে গেলো কানাই বাবুর গাও
গিন্নি এসে তর্কে জড়ায় বসে বসে খাও।
চিন্তা আবার খুঁজতে গিয়ে হয়ে গেলো রেশ
খেঁকশিয়ালের মেলা এসে রাত্রিযাপন শেষ।

 

বৈশাখী ঝড়
এম সোলায়মান জয়

আকাশ কালো মেঘ জমেছে
ঝড় উঠেছে ঝড়
গুড়ুম গুড়ুম মেঘের ডাকে
কাঁপে বাড়ি ঘর।

পাগলা হাওয়ায় ভেঙে পড়ে
আম্র গাছের ডাল
কালবৈশাখী ঝড় উড়িয়ে
নেয় যে ঘরের চাল।

ঝড়ের বেগে পড়ছে ঝরে
কাঁচা কাঁচা আম
পড়ছে আরো ডাল ভেঙে ওই
আমড়া, বরই, জাম।

কালবৈশাখী ঝড় উঠেছে
কৃষক মনে ভয়
মাঠ ভরা ওই সবুজ ধানের
কী জানি কী হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
নয়া দিগন্তের শৈলকুপা সংবাদাতার ওপর দুর্বৃত্তদের হামলা ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৩৯ সুন্দরবনে জ্বলছে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট শায়েস্তাগঞ্জে সাবেক সেনা সদস্য ট্রাকচাপায় নিহত ইসরাইল-গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনা নিয়ে কায়রোতে জোরদার প্রচেষ্টা ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৫ ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারী আটক গাজীপুরে তুলার গুদামে আগুন স্টপেজের দাবিতে ফরিদপুরে প্রথম দিনই ট্রেনের গতিরোধ সন্দেশখালির ধর্ষণের অভিযোগ সাজানো, বিজেপি নেতার ভিডিওতে তোলপাড় খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বজ্রপাতে মা-ছেলের মৃত্যু গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় পূর্ব আফ্রিকায় মানবিক সঙ্কটের অবনতির হুমকি স্বরূপ

সকল