রংপুর মহানগরীর পুর্ব গিলবাড়ি এলাকার চান্দেরহাট বাজারের পাশের একটি ধানক্ষেত থেকে আজ সোমবার সকালে নজমুল ইসলাম (৩০) নামের একজন রংমিস্ত্রির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রংপুর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) সাইফুর রহমান সাইফ নয়া দিগন্তকে জানান, নগরীর ১০ নং ওয়ার্ডের মধ্য জগদিশপুর সরদারপাড়ার আব্দুর রহমানের পুত্র রংমিস্ত্রি নজমুল ইসলাম (৩০) এর লাশ পূর্বগিলাবাড়ী চান্দেরহাটের পাশে মানিকের ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, ধানক্ষেত পরিচর্যার সময় শ্রমিকরা লাশটি দেখতে পেলে আমাদের খবর দেয়। আমরা লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। এসময় লাশের পাশ থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। লাশটি ধানক্ষেতে উপর করে শোয়ানো ছিল। লাশের গায়ে লুঙ্গি ও টি শার্ট পরা ছিল। শরীরে ডানহাতের কনুইসহ বিভিন্নস্থানে ক্ষত চিহ্ন আছেও বলে জানান তিনি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক তদন্তে আমরা ধারণা করছি ভিন্ন কোনস্থানে খুন করার পর লাশ ওই ধানক্ষেতে নিয়ে রাখা হয়। এছাড়াও রোববার রাত ১১ টা পর্যন্ত নজমুল বাড়িতেই ছিল। ১১ টার পর সে বাড়ির বাইরে আসে এবং তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। আমরা লাশের কাছে একটি মোবাইল পেয়েছি। মোবাইলটি নজমুলের। ওই মোবাইলের কললিস্ট চেক করা হচ্ছে। পুর্ব শত্রুতাসহ তিনটি ইস্যুকে সামনে রেখে আমরা খুনের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছি।
এদিকে নজমুলের চাচাতো ভাই রুবেল মিয়া জানান, রোববার সন্ধার পর নজমুল বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর আর ফেরে নি। রাতে বিভিন্ন জায়গায় ওর বড়ভাই ভরসাসহ আমরা খোঁজাখুঁজি করেছি। কিন্তু কোথাও পাই নি। সকালে উঠে লাশের খবর পাই।
নজমুলের পিতা আব্দুর রহমান জানান, আমি আমার পুত্র হত্যার বিচার চাই। আমার পুত্রকে যারা হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি চাই।
কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মোখতারুল আলম জানান, আমরা লাশের সুরুতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছি। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর বোঝা যাবে কিভাবে হাতে হত্যা করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা