২০ মে ২০২৪, ০৬ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫
`


পাকিস্তানে ৭ ঘুমন্ত শ্রমিককে গুলি করে হত্যা

জাতিগত প্রতিহিংসার কারণে ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ - ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে গোয়াদার শহরের কাছে একটি বাড়িতে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে সাত শ্রমিক নিহত হয়েছেন। ওই ব্যক্তিরা তখন ঘুমাচ্ছিলেন।

বৃহস্পতিবার ভোর রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের ধারণা, জাতিগত প্রতিহিংসার কারণে ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে।

পুলিশ কর্মকর্তা মহসিন আলী জানান, বন্দুকধারীরা বন্দর নগরী গোয়াদার থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত একটি বাড়িতে ঢুকে ঘুমন্ত শ্রমিকদের ওপর গুলি চালায়।

নিহত সাত শ্রমিকের সবাই পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা। তারা সবাই একটি চুল কাটার সেলুনে কাজ করতেন বলে জানা গেছে।

বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ও চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) বিনিয়োগের অংশ হিসেবে উপকূলীয় শহর গোয়াদারে বেইজিংয়ের অর্থায়নে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প চালু রয়েছে।

তবে, পুলিশ মনে করছে, এই হামলার সাথে তাদের কাজের কোনো সম্পর্ক নেই। যদিও উত্তর আফগান সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় পাকিস্তানি তালেবান দ্বারা সংগঠিত আগের হামলাগুলোতে পশ্চিমা ধাঁচের দাড়ি ছাঁটা ও চুল কাটার ওপর কট্টরপন্থীদের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব ছিল বলে ধারণা করা হয়।

এক মাস পর প্রায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি
এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার না করলেও হামলাটির সাথে অস্থিতিশীল বেলুচিস্তান প্রদেশে জাতিগত সংঘাতের আগের হামলাগুলোর মিল রয়েছে।

গত এপ্রিল মাসে বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি নামের একটি গোষ্ঠী মহাসড়কে চলন্ত বাস থেকে কয়েকজন শ্রমিককে অপহরণ করে হত্যার দায় স্বীকার করে।

বেলুচিস্তান পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় প্রদেশ। খনিজসম্পদে সমৃদ্ধ প্রদেশটিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বেলুচ গেরিলাদের নেতৃত্বে কয়েক দশক ধরে বিদ্রোহ চলছে। চীনা বিনিয়োগের বিরোধিতা করা ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীরা’ দীর্ঘদিন ধরে বেলুচিস্তানে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তাদের প্রাপ্য অধিকার না পাওয়ার অভিযোগ জানিয়ে আসছে।

বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী মির সরফ্রাজ বুগতি সাত শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি এ ঘটনাকে ‘প্রকাশ্য সন্ত্রাস’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

সূত্র : ডয়চে ভেলে, ডন


আরো সংবাদ



premium cement