আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নেতৃত্বের দুর্বলতা ও অস্বচ্ছ রাজনীতিই বিএনপিকে দিন দিন ভোটের রাজনীতি থেকে পিছিয়ে দিচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের রোববার সকালে তার সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘তারা জনগণের কাছে ভোট না চেয়ে সরকারের সমালোচনা ও মিথ্যাচারকেই ব্রত হিসেবে বেছে নিয়েছে, যা প্রকারান্তরে তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্বকে দুর্বল করে তুলছে। নেতৃত্বের দুর্বলতা আর অস্বচ্ছ রাজনীতিই তাদের দিন দিন ভোটের রাজনীতি থেকে পিছিয়ে দিচ্ছে।’
পৌরসভা নির্বাচনে যাঁরা আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করে জয়লাভ করেছেন, তাঁদের ভবিষ্যতে দলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে আর বিবেচনায় আনা হবে না বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পরবর্তী ধাপের নির্বাচনে যাঁরা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না, দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের উদ্দেশ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, তাঁরা জয়ী হোক বা পরাজিত হোক, পরবর্তী নির্বাচনে আর মনোনয়ন পাবেন না। এটাই আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত।
শনিবার দ্বিতীয় ধাপে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয়ী সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, এ বিজয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও মানবিক নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা ও সমৃদ্ধির বিজয়। এ বিজয়কে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেওয়ার বিজয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক হিসাবে বলা হয়েছে, শনিবারের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল আশাব্যঞ্জক। সূত্রমতে, ভোটার উপস্থিতি ছিল ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ। ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি শেখ হাসিনা সরকার ও নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর জনগণের অব্যাহত আস্থারই বহিঃপ্রকাশ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা দেশের নির্বাচনব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, নির্বাচন নিয়ে কথায় কথায় হতাশা প্রকাশ করে, দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে জনগণ তাদের উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারের জবাব দিয়েছে।
বিএনপির নেতারা বলেছেন, ভোটকেন্দ্র নাকি সরকারি দলের দখলে ছিল—এই অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘তাহলে আপনাদের চারজন প্রার্থী কীভাবে বিজয়ী হলেন?’
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতারা ভোটের মাঠে না গিয়ে ঘরে বসে শীত উদ্যাপন করেন। কর্মীরা ভোট দিতে চাইলেও মাঝদুপুরে ভোট বর্জনের সংস্কৃতি তাদের তাড়া করে।
ইভিএমে ভোটদানে জনগণের আগ্রহ এখন অনেক বেড়েছে বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইভিএমে জনগণ স্বাচ্ছন্দ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। তাদের মধ্যে ছিল না কোনো জড়তা।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে নির্বাচন মানেই হানাহানি, সংঘাত আর প্রাণহানি লেগেই থাকত। বর্তমান সরকারের সময়ে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন ইউনিটে নির্বাচনে হানাহানি ও অস্ত্রের মহড়া বন্ধ হয়েছে।
সিরাজগঞ্জে যে সংঘাত হয়েছে, তা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দায়িত্ব পালন করেছেন। এ জন্য তিনি তাদের ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ভবিষ্যতে আরও কঠোর ভূমিকা পালন করারও নির্দেশ দেন তিনি।
সূত্র : বাসস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা