২১ মে ২০২৪, ০৭ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলকদ ১৪৪৫
`


ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়ায় জনগণের আদালতে আ’লীগের বিচার হবে: জোনায়েদ সাকি

রংপুরে গণতন্ত্র মঞ্চের প্রতিনিধি সমাবেশে জোনায়েদ সাকি (বাঁ থেকে তৃতীয়) - ছবি : নয়া দিগন্ত

গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে বাংলাদেশের জনগণকে নাগরিক হিসেবে বাতিল করেছে। তারা সম্পূর্ণ রাষ্ট্রশক্তি এবং রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের পকেটে ঢুকিয়ে বিদেশীদের গোলামী করে নিজেদের গদি রক্ষা করছে। এই অপরাধে বাংলাদেশের জনগণের আদালতে তাদের বিচার হবে।’

শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যায় রংপুরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিভাগীয় প্রতিনিধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

গণতন্ত্র মঞ্চের রংপুরের সমন্বয়ক মোফাখখারুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সমাবেশে আট জেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্য রাখেন জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদি উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাষানী অনুসারি পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক বাবুল বিশ্বাস প্রমুখ।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বাংলাদেশে একটা সরকার ক্ষমতায় আছে জনগণের ভোট ছাড়া। এটাই এই সরকারের সবচেয়ে বড় অপরাধ। জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়ার অর্থ হচ্ছে তার নাগরিক অধিকারের প্রথম যে ধাপ সেটাই কেড়ে নেয়া। তাকে নাগরিক হিসেবে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধান বলেন, এই রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা বলেন, সবটাই হয়েছে রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে। এটা ছিল- জনগণ হচ্ছে সকল ক্ষমতার কেন্দ্র। তাদের ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে। তারা সরকার পরিচালনা করবে। আজকে জনগণকে সেই ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সরকারের অপরাধের তালিকাগুলো আমরা না বললেই চলে। এই একটি অপরাধের কারণে বাংলাদেশের জনগণের আদালতে তাদের বিচার হবে।’

জোনায়েদ সাকি বলেন, আজকে এমন পরিস্থিতিতে এসে দাঁড়িয়েছে, তারা (আওয়ামী লীগ) এই রাষ্ট্রশক্তি সম্পূর্ণটাকে, রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের পকেটে ঢুকিয়েছে। তারা বিদেশীদের গোলামী করছে। গোলামী করে তারা নিজেদের গদি রক্ষা করছে। এটা হচ্ছে বাংলাদেশের বাস্তবতা। কাজেই জনগণকেই দায়িত্ব নিতে হবে এই সরকারকে কিভাবে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা যায়। তা না হলে দেশের কঠিন পরিস্থিতি হবে। যেটা আমরা দেখতে পাচ্ছি।’


আরো সংবাদ



premium cement