ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ অন্য ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলসহ নয় আসামিকে অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আকতারুজ্জামান ইলিয়াস এই প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মামুন, বুলবুল গ্রুপের ৩৫/৪০ জন নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে টেলিনর কর্তৃক রাষ্ট্রপতি বরাবর উকিল নোটিশ প্রদানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচী ছিল। অনুমান সাড়ে ১২টায় বিক্ষোভ কর্মসূচি মামুন, বুলবুলের নেতৃত্বে উক্ত নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে মধুর ক্যান্টিনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। মধুর ক্যান্টিনে যাওয়ার পথে ডাকসুর সামনে পৌঁছালে সেখানে উপস্থিত ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরসহ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংক্ষরণ পরিষদের নেতা মামুন, রাশেদ, ফারুকহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন নেতাকর্মীদের সাথে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনাকে ভিপি নুরুল হক নুরসহ তার অনুসারীরা চাঞ্চল্যকর করার জন্য একটি ইস্যু তৈরী করে মিডিয়ার সামনে তুলে ধরে। যার কারণে বাদী ঘটনা প্রত্যক্ষ না করে লোকমুখে ঘটনা শুনে মামলাটি দায়ের করেন। ঘটনাটি তদন্তকালে অধর্তব্য অপরাধ পেনাল কোড ৩২৩ ধারামতে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। অবৈধ জনতাবদ্ধে কোনো আসামি সেখানে সমবেত হয় নাই। আসামিরা সকলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। যারা প্রতিনিয়ত ডাকসু ভবনসহ মধুর ক্যান্টিনে একত্রে মিলে মিশে আসা যাওয়া করে। তাই পেনাল কোড ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮ ধারা প্রমাণিত হয় নাই।
অন্যদিকে মামলাটি প্রমাণের স্বপক্ষে কোনো সাক্ষ্য প্রমাণাদি, আলামত তদন্তকালে পাওয়া যায় নাই। তদন্তকালে ভিকটিম নুরুল হক নুর দায়েরকৃত সম্পূরক এজাহারের বর্ণিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মামলা প্রমাণের স্বপক্ষে বাদী এবং ভিকটিমগণ কোনো প্রকার সাক্ষ্য প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। এমতাবস্থায় মামলাটি মুলতবি রাখলে শুধুমাত্র সরকারী অর্থ, শ্রম, সময় অপচয় ব্যতীত অদূর ভবিষ্যতেও কোনো সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা নাই। তাই মামলাটি মুলতবি না রেখে মামলার এজাহার নামীয় আসামি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলসহ নয় জনকে মামলার দায় হতে অব্যাহতি দানের আবেদন করে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ঢাবি শাখার সভাপতি এ এস এম সনেট, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য, এ এফ রহমান হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইমরান সরকার, কবি জসিম উদ্দিন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াদ আল রিয়াদ (হল থেকে অস্থায়ী বহিষ্কৃত), জিয়া হল শাখার সভাপতি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম মাহিম, মেহেদী হাসান শান্ত ও মাহবুব হাসান নিলয়।
উল্লেখ্য, ভিপি নুরুল হক নুরসহ অন্য ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোহাম্মদ রইচ হোসেন বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন। এছাড়াও সাবেক ভিপি নুর এ ঘটনায় আরেকটি মামলা করতে গেলে তার অভিযোগটি সম্পূরক এজাহার হিসাবে নেয়া হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা