০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আলোচিত নুর হাফিজ ও সোহেল নিহত

-

টেকনাফে র‌্যাবের হাতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও অস্ত্রসহ আটক আলোচিত নুর হাফেজ ও সোহেল পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। আজ শনিবার ভোররাত সাড়ে ৫টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী গাজী পাড়ার পশ্চিমে পাহাড়ে এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৯৫ হাজার ইয়াবা, দেশীয় তৈরী ৬টি বন্দুক, ১৮ রাউন্ড গুলি ও ১৩ রাউন্ড খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ৫ জন সদস্য আহত হয়েছে বলে দাবি করছে পুলিশ।

নিহতরা হলো- টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াবাজার এলাকার দিল মোহাম্মদের ছেলে ও শীর্ষ ইয়াবা কারবারি মো. আমিন ওরফে নুর হাফেজ (৩২) ও হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালী এলাকার সাব্বির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ সোহেল (২৭)।

টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানিয়েছেন, ‘গত ১৩ ডিসেম্বর রাতে র‌্যাব-৭ এর একটিদল ৮ লাখ ইয়াবা, ৬ টি আগ্নেয়াস্ত্র সহ টেকনাফের হোয়াইক্যং নয়াবাজার এলাকার শীর্ষ ইয়াবা কারবারি মো. আমিন ওরফে নুর হাফেজ (৩২), হ্নীলার রঙ্গীখালী এলাকার মোহাম্মদ সোহেল (২৭), সৈয়দ নুর (২৭) ও সৈয়দ আলম কালুকে (৪৫) আটক করে। আটকের পর র‌্যাব সদস্যরা একই দিন বিকালে টেকনাফ থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করে এবং সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করে। পরে আটক ইয়াবা কারবারিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাহাড়ে আরো ইয়াবা মজুদের কথা স্বীকার করে। রাতে টেকনাফ থানার একদল পুলিশ ইয়াবা উদ্ধারের জন্য অভিযানে নামে। পুলিশ রঙ্গিখালী গাজী পাড়ার পশ্চিমে পাহাড়ে পৌছার সঙ্গে সঙ্গে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা অন্যান্য ইয়াবাকারবারিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এসময় ইয়াবাকারবারিদের গুলিতে পুলিশের এসআই কামরুজ্জামান, এএসআই মিশকাত, সনজীব দত্ত, কনস্টেবল মহিউদ্দিন ও সেকান্দর গুলিবিদ্ধ হয়। এক পর্যায়ে হামলাকারি ইয়াবা কারবারিরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে দেশিয় তৈরি ৬টি এলজি, ১৮ রাউন্ড কাতুজ, ১৩টি কার্তুজের খোসা, ৯৫ হাজার ইয়াবা সহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নুর হাফেজ ও সোহেলকে উদ্ধার করা হয়। আহতদের প্রথমে টেকনাফ স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে।

আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাপসাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। 


আরো সংবাদ



premium cement