২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ইসরাইলের সাথে চুক্তিতে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আসবে না : ইরান

কাতারের আমিরের সাথে ফোনালাপ
-

ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি আঞ্চলিক দেশগুলোকে লক্ষ্য করে বলেছেন, ইসরাইলের সাথে কথিত শান্তিচুক্তি করে নিরাপত্তা আসবে না। তিনি ইসরাইলকে ‘ক্রিমিনাল’ আখ্যা দিয়ে বলেন,‘তারাই পুরো মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তাহীনতা এবং অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির মূল হোতা।’ ইসরাইলের সাথে কয়েকটি আরব রাষ্ট্রের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘটনায় ইরানি প্রেসিডেন্ট দুঃখ প্রকাশ করেন।
বুধবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আলে সানির সাথে টেলিফোন আলাপে এসব কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। তিনি বলেন, বাইরের শক্তি আঞ্চলিক দেশগুলোতে যে হস্তক্ষেপ করছে এবং তাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে রেখেছে তা থেকে বের হয়ে আসতে হবে এবং জ্ঞান-বুদ্ধি, বিচক্ষণতা, যুক্তি এবং আন্তরিক সংলাপের মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে।
প্রেসিডেন্ট রুহানি সুস্পষ্ট করে বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে ইসরাইলকে আঞ্চলিক ঘটনাবলিতে যুক্ত করার কারণে নিরাপত্তাহীনতা এবং অস্থিতিশীলতা বাড়বে। তিনি আরো বলেন, সত্যিই খুব আশ্চর্যজনক যে, কোনো কোনো প্রতিবেশী দেশ মনে করছে ক্রিমিনাল ইসরাইল সরকারের সাথে সম্পর্ক তৈরি করলে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে অথচ ইসরাইল হচ্ছে পুরো অঞ্চল এবং মুসলিম দেশগুলোর শত্রু। তিনি বলেন, আঞ্চলিক দেশগুলোকে তাদের নিজেদের সমস্যা নিজেদেরকেই সমাধান করতে হবে এবং আমি নিশ্চিত আগামী মাসগুলোতে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে আঞ্চলিক পরিস্থিতি অনেক ভালো হবে।
প্রেসিডেন্ট রুহানি আশা প্রকাশ করেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন ঘটনাবলি ও মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের জন্য কোনো কোনো দেশের শত্রুতাপূর্ণ নীতির পরিবর্তন আসবে এবং জোরালো আঞ্চলিক সংলাপ ও সমঝোতায় পৌঁছানোর ক্ষেত্রে একটা সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফোনালাপে প্রেসিডেন্ট রুহানি ইরানের সাথে কাতারের সম্পর্ক এবং ক্রমবর্ধমান বন্ধুত্বের প্রশংসা করে বলেন, ইরান আঞ্চলিক দেশগুলোর সাথে অত্যন্ত হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক চায়।
ফোনালাপে কাতারের আমির ইরানি প্রেসিডেন্টকে দোহা সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং জবাবে প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, এ সফর একটি উপযুক্ত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। ফোনালাপে কাতারের আমির তেহরান ও দোহার মধ্যকার বর্তমান সম্পর্ককে কৌশলগত বলে মন্তব্য করেন এবং এই সম্পর্ক দুই দেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষায় ভূমিকা রাখবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ইরানের সাথে এরই মধ্যে কাতারের যেসব চুক্তি হয়েছে তা বাস্তবায়নে দোহা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে বলেও জানান শেখ তামিম বিন হামাদ আলে সানি। তিনি বলেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যেকোনো চুক্তিতে ইরানকে অবশ্যই একটি পক্ষ হিসেবে রাখতে হবে। তিনি আশা করেন, চলমান আন্তর্জাতিক ঘটনাবলির প্রেক্ষাপটে ইরান ও পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে আলোচনা শুরু হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
বাইপাস সার্জারির জন্য কৃত্রিম রক্তনালী তৈরির চেষ্টা হামাসকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরাইলি প্রস্তাব বিবেচনার আহ্বান যুক্তরাজ্যের প্রথমবারের মতো সিরি-এ ম্যাচে ছিলেন সব নারী রেফারি ফেনীতে তাপদাহে তৃষ্ণা মেটাতে শিবিরের পানি-স্যালাইন বিতরণ ২৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাংলাদেশে যাদের ইলমে দীন অর্জনের সৌভাগ্য হয়েছে, তারাই প্রকৃত ধনী ৩৩ ইসরাইলির মুক্তির বিনিময়ে গাজায় ৪০ দিনের অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব ইসরাইলের ‘টেকসই প্রস্তাব’ কী হবে হামাসের প্রতিক্রিয়া উইলিয়ামসনের নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা নিউজিল্যান্ডের রাত ১১টার মধ্যে রাস্তার পাশের চায়ের দোকান বন্ধের নির্দেশ ডিএমপির ব্যাংক একীভূত করার প্রক্রিয়া কি হোঁচট খেল?

সকল