০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


আজারবাইজান-আর্মেনিয়া নতুন যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টাও ব্যর্থ

তুরস্ককে রাশিয়ার হুঁশিয়ারি
-

আজারবাইজান-আর্মেনিয়া সঙ্ঘাত নিরসনের সব প্রচেষ্টাই যেন ব্যর্থ; দ্বিতীয়বারও যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা গেল না নাগরনো-কারাবাখে। দ্বিতীয় যুদ্ধবিরতি ঘোষণার কয়েক মিনিটের মধ্যেই আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের সেনাযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে এবং ক্রমশ সেই সঙ্ঘাত জোরালো হয়। গোলাবর্ষণে ক্ষতি হয়েছে একের পর এক শহরের। এ ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কয়েক শ’ মানুষের। নতুন সঙ্ঘাতের পর যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ প্রশ্নবিদ্ধ।
সপ্তাহ দুয়েক আগে মস্কোর মধ্যস্থতায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির চুক্তি করেছিল আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান। তা ফলপ্রসূ হয়নি। বরং যুদ্ধের ভয়াবহতা বেড়েছিল। গত রোববার আবারো দুই দেশকে নিয়ে শান্তি আলোচনায় বসেছিল রাশিয়া। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের মধ্যস্থতায় নতুন করে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয় দুই দেশে। ঠিক হয়, আগামী তিন সপ্তাহ একে অপরকে আক্রমণ করবে না তারা।
তবে, সেই চুক্তির কয়েক মিনিটের মধ্যেই নতুন করে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে দুইটি দেশ। সোমবার আর্মেনিয়ার পক্ষ থেকে সঙ্ঘাতে তাদের ৭২৯ সেনাসদস্য নিহত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আজারবাইজান তাদের সামরিক ক্ষয়ক্ষতির হিসাব দেয়নি। তবে তাদের দাবি অনুযায়ী ৬১ বেসামরিক আজারি নিহত ও ২৮২ জন আহত হয়েছে।
এদিকে নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলে সন্ত্রাসী ও বিদেশী ভাড়াটে সেনা জড়ো করার ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে রাশিয়া বলেছে, এই বিষয়টি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সোমবার মস্কোয় রুশ প্রেসিডেন্টের মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকাবিষয়ক প্রতিনিধি মিখাইল বোগদানভ এক বক্তব্যে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। রুশ বার্তা সংস্থা ‘তাস’ জানিয়েছে, রাশিয়ার এই শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা কারাবাখ অঞ্চলে সন্ত্রাসী জড়ো করার জন্য সরাসরি তুরস্ককে দায়ী করেছেন।
আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় লিখিত বিবৃতিতে দাবি করেছে, চুক্তির কয়েক মিনিটের মধ্যেই আর্মেনিয়া আজারবাইজানের বেশ কয়েকটি শহরে গোলাবর্ষণ শুরু করে। রোববার সারা রাত ধরেই গোলাবর্ষণ করে ধ্বংস করা হয় শহরগুলো। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হলো টারটার, আঘজাবেদি, আঘদাম।
আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ দাবি করেছেন, অন্যায়ভাবে আর্মেনিয়া যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। একের পর এক শহরে গোলাবর্ষণের পরে আজারবাইজানও তার উত্তর দিতে বাধ্য হয়েছে। এ দিকে আর্মেনিয়ার অভিযোগ, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে আজারবাইজান। নাগরনো-কারাবাখের যোদ্ধাদের দাবি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই কারাবাখের মারতুনি এবং আরো চারটি গ্রামে গোলাবর্ষণ শুরু করে আজেরি সেনা।

 


আরো সংবাদ



premium cement