০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


গফরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত

-

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় পাপিয়া (৭) সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। রোববার উপজেলার ধামাইল গ্রামে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত পাপিয়া পশ্চিম গফরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী।

নিহত শিশুর পিতা সাইদুল মিয়া জানান, রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ধামাইল পূর্বপাড়া মক্তব থেকে আরবি পড়ে বাড়ি ফেরার পথে গফরগাঁও-বরমী সড়ক পার হওয়ার সময় একটি বেপরোয়া গতির ইঞ্জিনচালিত অটোরিক্সা তার মেয়েকে চাপা দেয়। পরে এলাকাবাসী তার মেয়েকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে নিয়ে আসে। সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মেয়ের মৃত্যু হয়। এলাকাবাসী ঘাতক অটোরিক্সাটিকে আটক করলেও চালক পলাতক রয়েছে।

গফরগাঁও থানার ওসি অনুকূল সরকার বলেন, এ বিষয়ে কেউ জানায়নি। তবে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার টাংগাব গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে আছিয়া খাতুন (১৬) নামে এক কিশোরী বধূ আত্মহত্যা করেছে। শনিবার গভীর রাতে স্বামীর বাড়িতে নিজের রুমে আছিয়া খাতুন সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।

নিহত আছিয়া খাতুন টাংগাব গ্রামের মো. সাহিদের মেয়ে এবং টাংগাব জামির হাজি দাখিল বালিকা মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর ছাত্রী। গত একবছর আগে একই গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে মালদ্বীপ প্রবাসী আশরাফুল ইসলামের (২৫) সাথে কিশোরী আছিয়া খাতুনের মোবাইলে ফোনে বিয়ে হয়। বিয়ের আগে থেকেই স্বামী আশরাফুল প্রবাসে থাকলেও আছিয়া খাতুন শ্বশুর বাড়িতে থাকত।

এলাকাবাসী ও পাগলা থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল ৭টা পর্যন্ত আছিয়া খাতুনের রুমের দরজা বন্ধ পেয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজন জানালা খুলে দেখে অছিয়া খাতুন সিলিং ফ্যানের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

আছিয়ার পরিবারের লোকজন অভিযোগ করে বলেন, বিয়ে হওয়া পর থেকেই স্বামীর সাথে আছিয়ার দেখা না হলেও স্বামীর বাড়ির লোকজন কারণে-অকারণে আছিয়াকে মানসিক যন্ত্রণা দিত। সামান্য বিষয় নিয়েই সংসারে কলহ সৃষ্টি করত।

পাগলা থানার ওসি মো. শাহিনুজ্জামান খান বলেন, পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে।


আরো সংবাদ



premium cement