২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


রোদেলা হত্যার তিন বছরেও আটক হয়নি ঘাতক স্বামী

-

কলেজছাত্রী সাজিয়া আফরিন রোদেলা (১৮) হত্যাকাণ্ডের তিন বছরেও গ্রেফতার হয়নি অভিযুক্ত স্বামী সোহানুর রহমান সোহন (৩১)। প্রধান এই আসামির অনুপস্থিতিতে আদালতে রোদেলা হত্যার বিচার কার্যক্রমও এখনো শুরু হয়নি। ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মারা যান শহরের আলিপুর খাঁ-বাড়ি মহল্লার শওকত হোসেন খান ওরফে শকার একমাত্র মেয়ে রোদেলা। তিনি সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজে ইংরেজিতে অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৩ জানুয়ারি গোয়ালচামট মহল্লার নতুুন বাজার মহল্লার জনৈক মমিনুর রহমান সেন্টুর ছেলে বিদেশ প্রবাসী সোহানুর রহমান সোহানের সাথে তার বিয়ে হয়।
বিয়ের পর ১০ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য রোদেলাকে চাপ দিতে থাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এ জন্য তাকে নানাভাবে মানষিক যন্ত্রণা দিতো। একপর্যায়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে স্বামী, শাশুড়ি ও ননদ মিলে পরিকল্পিতভাবে শ্বাস রোধ করে রোদেলাকে হত্যা করে। ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে বর্তমানে এ মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই গাফফার জানান, রোদেলার মৃতদেহের ভিসেরা রিপোর্টে শ্বাস রোধ করে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। ব্যাপক তদন্ত শেষে স্বামী সোহানসহ আটজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, ফরিদপুরের সরকারি কৌঁশুলি (এপিপি) স্বপন কুমার পাল বলেন, প্রধান আসামি রোদেলার স্বামী ঘটনার পর হতে পলাতক রয়েছে। তাকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে। এরপর মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম দ্রুতই শুরু হবে।
রাদেলার বাবা শওকত হোসেন খান বলেন, গত তিনটি বছর মেয়ের হত্যার বিচারের আশায় আদালতের বারান্দায় ঘুরছি। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই। একই সাথে মামলার প্রধান আসামি সোহানকে গ্রেফতারের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই বেলাল হোসেন বলেন, এ মামলার প্রধান আসামি সোহানুর রহমান সোহানকে গ্রেফতারে পুলিশ জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement