১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলকদ ১৪৪৫
`


‘খাদ্যমান নিশ্চিতে ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা বাস্তবায়ন জরুরি’

‘খাদ্যমান নিশ্চিতে ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা বাস্তবায়ন জরুরি’। - ছবি : নয়া দিগন্ত

ট্রান্সফ্যাট মুক্ত খাদ্য নিশ্চিতকরণে সরকার খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্স ফ্যাটি এসিড নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা, ২০২১ পাশ করলেও এখনো তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রবিধানমালাটি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাদ্যের মান নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশে খাদ্যে মাত্রাতিরিক্ত ট্রান্সফ্যাটের কারণে হৃদরোগসহ বিভিন্ন ধরনের অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি এবং মৃত্যু ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।’

বুধবার বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োজিত ‘খাদ্যে ট্রান্সফ্যাট ও হৃদরোগ ঝুঁকি : আমাদের করণীয়” শীর্ষক এক ওয়েবিনারে (অনলাইন সভা) এসব তথ্য তুলে ধরেন বিশেষজ্ঞ বক্তারা।

বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২৩-এর প্রতিপাদ্য ‘ফুড স্ট্যান্ডার্ডস সেভ লাইভস’ প্রজ্ঞার কো-অর্ডিনেটর সাদিয়া গালিবা প্রভার সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল আলীম, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশনের (বিএসটিআই) উপ-পরিচালক (কৃষি ও খাদ্য-মান উইং) এনামুল হক, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের ইপিডেমিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, বারডেম জেনারেল হাসপাতালের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শামসুন্নাহার নাহিদ। আরো উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস ও প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এ ওয়েবিনারে অংশ নেয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রান্সফ্যাটের প্রধান উৎস পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল (পিএইচও), যা ডালডা বা বনস্পতি ঘি নামে পরিচিত। সাধারণত বেকারি পণ্য, প্রক্রিয়াজাত ও ভাজা পোড়া স্ন্যাক্স এবং হোটেল-রেস্তোরাঁ ও সড়ক-সংলগ্ন দোকানে খাবার তৈরিতে ডালডা ব্যবহৃত হয়। প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ট্রান্সফ্যাটঘটিত হৃদরোগে মৃত্যুবরণ করে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল ট্রান্সফ্যাট এলিমিনেশন প্রতিবেদন অনুযায়ী ভারতসহ বিশ্বের ৪৩টি দেশ ইতোমধ্যে খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ‘সর্বোত্তম নীতি’ বাস্তবায়ন করলেও, বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে রয়েছে।

অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল আলীম বলেন, যত প্রতিবন্ধকতাই আসুক, দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে ট্রান্সফ্যাট প্রবিধানমালা বাস্তবায়ন করতে হবে এবং মানুষকে ট্রান্সফ্যাট ঘটিত রোগ থেকে মুক্তি দিতে হবে।

এনামুল হক জানান, প্রবিধানমালা অনুসারে খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটের পরিমাণ নির্ধারিত মাত্রায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে বিএসটিআই ইতোমধ্যে স্ট্যান্ডার্ডাইজেশনের কাজ শুরু করেছে।

অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, প্রবিধানমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে খাবার থেকে ট্রান্সফ্যাট নির্মূল করতে পারলে মানুষকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার আওতায় আনা সম্ভব হবে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যাবে।

শামসুন্নাহার নাহিদ বলেন, ট্রান্সফ্যাট শরীরে ভালো চর্বির পরিমাণ কমায় এবং খারাপ চর্বির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় যার ফলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

এ ওয়েবিনারের আয়োজনে সহযোগী ছিল গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই)।


আরো সংবাদ



premium cement
নাঙ্গলকোটে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকা তরুণীর অনশন, পলাতক প্রেমিক চার উইকেট নেই জিম্বাবুয়ের বরিশাল অঞ্চল জামায়াতের উপজেলা আমির সম্মেলন অনুষ্ঠিত তারা আহম্মকের স্বর্গে বাস করেন : শাহজাহান খান অসাম্প্রদায়িকতার প্রতীক পহেলা বৈশাখ আমাদের মূল চালিকাশক্তি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাণীনগরে নদীতে ডুবে জেলের মৃত্যু ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়ায় জনগণের আদালতে আ’লীগের বিচার হবে: জোনায়েদ সাকি হঠাৎ বেসামাল বাংলাদেশ, গুটিয়ে গেল অল্পতেই মারাত্মক বিপর্যয়ে বাংলাদেশ আল্লাহ পরিপূর্ণ সুস্থতা দান করলে দেশের সেবায় নিয়োজিত হব : ড. খন্দকার মোশাররফ এবার খুব ভালো ভোট পড়েছে তা বলব না : ওবায়দুল কাদের

সকল