২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


শুভ জন্মদিন বিকেএসপি

শুভ জন্মদিন বিকেএসপি - ছবি : সংগৃহীত

স্মৃতি থেকে হারিয়ে যাওয়া অসংখ্য নামের শেষে হালের সাকিব-মুশফিক-মুমিনুল, সম্ভাবনাময়ী আফিফ-আমিনুল; ফুটবলের অগণিত তারার একজন মামুনুল কিংবা আগামীর তানভীর। হকিতে চয়ন থেকে আজকের আশরাফুল-জিমি। অলিম্পিকের আসিফ-হেল-বাকি কিংবা রুমান সানা; আরো অসংখ্য অগণিত কতো নাম না জানা ক্রীড়াঙ্গনের কতো তারকাই না জানি আছেন একই সুতোয় বাঁধা।

যেই সুতোর নাম বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (BKSP)। দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বিকেএসপির অবদান অপরিসীম ও অনস্বীকার্য। অসংখ্য ক্রীড়াবিদ গড়ার সূতিকাগার এই বিকেএসপি। প্রতিভা অন্বেষণ অতঃপর উন্নত প্রশিক্ষণে প্রতিষ্ঠিত করতে বাংলায় বিকেএসপির বিকল্প নেই।

যেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবার অনুভূতিই এতদিন অজানা-অচেনা ছিল, সেই আক্ষেপ ভুলিয়ে অনাস্বাদিত আনন্দের রেশ ছড়িয়ে দেয়া ইতিহাসের অমরত্ব কাব্যে স্থান পাওয়া, অনুর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের নেপথ্যের ক্রিকেটারদের মাঝেও ছিলো বিকেএসপির আধিপত্য।

শুধুই কি ক্রিকেট ফুটবল কিংবা হকি! না বরং বিকেএসপি শিক্ষা দেয় ১৭টি ক্যাটাগরিতে। বিভাগগুলো হলো- ক্রিকেট, ফুটবল, হকি, শ্যুটিং, আর্চারি, জুডো, উশু, তায়কোয়ান্দো, অ্যাথলেটিকস, বাস্কেটবল, সাঁতার, জিমন্যাস্টিকস, বক্সিং, টেনিস, ভলিবল, কারাতে ও টেবিল টেনিস।

ক্রীড়া ইতিহাস বা আগামীর পথচলায় বিকেএসপি যেনো এক কালজয়ী দূর্গ। যে দূর্গ থেকে প্রতিনিয়ত বের হচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁকে বীর, যারা প্রতিনিয়ত প্রতিনিধিত্ব করছে দেশকে, অর্জনের গৌরবে মাতাচ্ছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গ কিলোমিটারের এই ছোট্ট দেশকে। বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরছে লাল সবুজের বিজয় নিশান।

বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের একটা বড় অংশ দখল করে রাখা বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষার নির্ভরযোগ্য এই প্রতিষ্ঠানে সূচনা হয়েছিলো ১৯৮৬ সালের ১৪ এপ্রিল। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার ব্রত নিয়ে জন্ম হওয়া বিকেএসপির আজ ১৪ এপ্রিল, ৩৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। শুভ জন্মদিন বিকেএসপি। শুভ জন্মদিন ক্রীড়াবিদের আতুঘর। শুভ জন্মদিন ক্রীড়ার প্রধান সূতিকাগার।

সবশেষে বিকেএসপিকে বলাই যায়, তুমি ছিলে বলে আমরা একজন বিশ্বসেরা পেয়েছি, তুমি ছিলে বলে আমরা আজ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছি। তোমার জয়রথ ছুটে চলুক অনন্তকাল, অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায়।


আরো সংবাদ



premium cement