আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশন (আইজেএফ) ঘোষণা করেছে, অলিম্পিকের প্রতিযোগিতায় ইসরাইলি খেলোয়ারকে বয়কটের কারণে আলজেরিয়ার জুডো খেলোয়ার ফেতহি নৌওরিন ও তার কোচ আম্মার বিন ইখলিফকে শৃঙ্খলা ভঙ্গজনিত কারণে শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন। শনিবার আইজেএফের প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ইসরাইলি প্রতিপক্ষের সাথে লড়াইয়ের সম্ভাবনায় অলিম্পিক গেমসের প্রতিযোগিতা থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন ফেতহি নৌওরিন।
আইজেএফের বিবৃতিতে বলা হয়, ইতোমধ্যেই এই বিষয়ে গঠিত একটি তদন্ত কমিশন নৌওরিন ও তার কোচের ওপর সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিষয়টি একইসাথে আইজেএফের ডিসিপ্লিনারি কমিশন বিশদ তদন্ত, বিচার ও চূড়ান্ত শাস্তির জন্য তত্ত্বাবধান করছে।
আইজেএফ বিবৃতিতে বলে, 'আইজেএফ কঠোর বৈষম্যবিরোধী নীতি মেনে চলে। জুডোর মূল্যবোধে উৎসাহের মাধ্যমে সংহতির পৃষ্ঠপোষকতা এর অন্যতম মূল নীতি।'
টোকিওতে চলমান ৩২তম অলিম্পিক আসরে ৭৩ কেজি পুরুষ জুডো প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন ৩০ বছর বয়সী ফেতহি। আগামী ২৬ জুলাই প্রথম রাউন্ডের খেলায় সুদানের মোহাম্মদ আবদুর রাসুলের সাথে প্রতিযোগিতার কথা ছিল। এই রাউন্ডের খেলায় উত্তীর্ণ হলে ইসরাইলের তোহার বুটবুলের সাথে তার সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারতো।
আলজেরিয়ার সংবাদমাধ্যমকে নৌওরিন জানিয়েছিলেন, ফিলিস্তিনের প্রতি রাজনৈতিক সমর্থনের কারণে তিনি ইসরাইলি খেলোয়াড়কে বয়কট করছেন।
তিনি বলেন, 'গেমসে কোয়ালিফাই করার জন্য আমরা কঠোর পরিশ্রম করি, কিন্তু ফিলিস্তিনের প্রসঙ্গ তার চেয়েও বড়।'
নৌওরিন বলেন, 'ফিলিস্তিনি ইস্যুতে আমার অবস্থান স্থির এবং আমি (ইসরাইলের সাথে) সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ প্রত্যাখ্যান করছি। যদি এর জন্য অলিম্পিক গেমসে অনুপস্থিত থাকার মতো মূল্য আমাকে দিতে হয়, আল্লাহ তার বদলা দেবেন।'
এবারই প্রথম নৌওরিন ইসরাইলি প্রতিপক্ষকে বয়কটে প্রতিযোগিতা থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করেননি। ২০১৯ সালে টোকিওতেই অনুষ্ঠিত জুডো ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপের আসরে ইসরাইলি প্রতিপক্ষকে এড়াতে নিজের নাম প্রতিযোগিতা থেকে প্রত্যাহার করে নেন।
আলজেরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়নি। পাশাপাশি ইসরাইলি পাসপোর্ট নিয়ে কোনো ব্যক্তিকে দেশটিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
সূত্র : মিডল ইস্ট আই
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা