১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


হেলথ টিপস : মানসিক চাপ থেকে স্থূলতা ও মেদবৃদ্ধি

-

দীর্ঘদিন মানসিক চাপে ভুগলেও পেটের মেদ বাড়তে পারে। আমরা সবাই বিভিন্ন সময়ে কোনো-না-কোনো মানসিক চাপে ভুগে থাকি। দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার পাশাপাশি নানা রকমের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়, এর মধ্যে স্ট্রেস বেলি বা পেট বেড়ে যাওয়া অন্যতম। তল পেটের মেদ নানান স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। এর মধ্যে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও কিডনির সমস্যা অন্যতম। তাই মানসিক চাপ থেকে পেটে মেদ জমার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানানো হলো স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে।
স্ট্রেস বেলি কোনো শারীরিক সমস্যা নয়, এটা মানসিক চাপ ও চাপের হরমোনের ফলে ওজন বৃদ্ধি বিশেষত পেটের মেদ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
মানসিক চাপের কারণে কর্টিসোলের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যা তলপেটের মেদ বাড়ায়। অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থি থেকে হরমোন নিঃসরণ হয় এবং তা রক্তের শর্করার মাত্রা, বিপাক ও শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রিয়ায় ভূমিকা রাখে।
মানসিক চাপ বাড়ার ফলে কর্টিসোলের মাত্রা বেড়ে যায় যা আমাদের কষ্টকর পরিস্থিতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সহায়তা করে। আর ধীরে ধীরে তা স্বাভাবিক করে ফেলে।
কর্টিসোলের মাত্রা বৃদ্ধি, স্থূলতা ও ওজন বৃদ্ধি : দীর্ঘায়িত মানসিক চাপ স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব রাখে। উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে শর্করা বৃদ্ধি ও মানসিক চাপ কর্টিসলের মাত্রা বাড়ায়। মানসিক চাপের কারণে কর্টিসোলের মাত্রা বৃদ্ধি তল পেটের স্থূলতা ও ওজন বাড়ায়।
‘দ্য জার্নাল অব সাইকোসোমেটিক মেডিসিন’য়ে প্রকাশিত গবেষণা থেকে জানা যায়, যাদের কর্টিসোলের মাত্রা বেশি তাদের কম হরমোনের মানুষের তুলনায় কোমরের মাপ বড় হয়।
তবে সব স্থূলকায় ব্যক্তিই উচ্চ কর্টিসোলের সমস্যায় ভোগেন না, অনেকেই বংশগতি ও জীবনযাত্রার কারণের এই সমস্যায় ভুগে থাকেন।
স্ট্রেস বেলি কমানোর উপায়
সুষম খাবার খাওয়া: তাজা ফল, সবজি ও শস্যধরনের খাবার খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করাকে সুষম খাবার বলে। এটা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। ভিটামিন-বি সমৃদ্ধ খাবার মানসিক চাপ কমাতে কার্যকর।
ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ কমানো: উচ্চ ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলুন, এতে কোনো পুষ্টিমূল্য নেই। ফ্রুক্টোজ ও হাইড্রোজেনেইটেড ভেষজ তেল এড়িয়ে চলা উচিত। অ্যালকোহল গ্রহণ এড়িয়ে চলুন এতে ক্যালরির পরিমাণ বেশি।
শারীরিকভাবে কার্যকর থাকা: শুয়ে বসে দিন কাটানো ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। শারীরিকভাবে কার্যকর থাকা পেটের মেদ কমায়, মন ভালো রাখে। এছাড়াও নানাভাবে শরীর সুস্থ রাখে। প্রত্যেককে সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হালকা শরীরচর্চা করা প্রয়োজন।
ধূমপান বাদ দেয়া: গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপান তলপেটের স্থূলতা বাড়ায় ও অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে। তাই যত দ্রুত সম্ভব ধূমপান বাদ দেয়া প্রয়োজন।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ: মানসিক চাপ ওজন বাড়ায় বিশেষত পেটের মেদ। তাই নিজেকে শান্ত ও স্থির রাখতে উপায় খুঁজে বের করতে হবে। যোগ ব্যায়াম, ধ্যান, প্রকৃতির কাছে কিছুটা সময় কাটানো ইত্যদি নানাভাবে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন ও মানসিক স্বাস্থ্যের যতœ নিন।
পর্যাপ্ত ঘুম: সার্বিক সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম আবশ্যক। গবেষণা থেকে জানা যায়, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে যারা ছয় ঘণ্টার কম ঘুমান অথবা নয় ঘণ্টার বেশি ঘুমান তাদের দেহে মেদ জমার পরিমাণ বেশি। প্রাপ্তবয়স্কদের অবশ্যই প্রতিদিন সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। ইন্টারনেট।


আরো সংবাদ



premium cement