২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


খুলনায় কাউন্সিলর পদে লড়াই : বেড়েছে ভোটারদের কদর

- ছবি : নয়া দিগন্ত

প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ভোট বর্জন করায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তুলনায় খুলনা সিটিতে মেয়র নিয়ে অনেকটা নিশ্চিন্তে আওয়ামী লীগ। আলোচনা ও ভোট জরিপে তালুকদার আব্দুল খালেক শক্ত অবস্থান ও ফুরফুরে মেজাজে থাকায় মেয়র নিয়ে ভোটারদের মাতামাতি কম। সব আলোচনা-পর্যালোচনা আর হিসাব-নিকাশ কাউন্সিলরদের ঘিরে। বিএনপি নির্বাচনে না আশায় এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছে না প্রার্থীরা। প্রখর রোদ আর তীব্র গরম উপেক্ষা করে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন। বেড়েছে ভোটারদের কদর।

দলীয় সূত্র জানায়, এতদিন কাউন্সিলর পদে দলীয় টিকিট পেতে যারা এগিয়ে ছিল বিএনপি নির্বাচন বর্জন করায় অনেকের ভাগ্য ফিঁকে হয়ে গেছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একাধিক প্রার্থী থাকায় পূর্বের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে দল যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়, সেজন্য কাউন্সিলর পদ উম্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তে অনেকেই কষ্ট পেয়েছেন। আর একাধিক প্রার্থী থাকায় ভোটের মাঠেও উত্তাপ বেড়েছে। কী বিএনপি, কী জামায়াত, তা দেখার কোনো সুযোগ নেই। বিজয় ছিনিয়ে আনতে সমানতালে সকাল থেকে রাত অবধি ভোটারদের কাছে টানতে ঘুরছেন প্রার্থীরা। কদর বেড়েছে সাধারণ ভোটারদের। উপঢৌকন আর নানা অফার নিয়ে হাজির হচ্ছেন প্রার্থীরা। তবে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়াতে সবাই সিরিয়াস।

সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কাউন্সিলর প্রার্থীর ক্ষেত্রে দল বড় কথা নয়। এলাকা, পরিবার এবং ব্যক্তি ইমেজই বড় কথা। কাকে ভোট দিলে উন্নয়ন হবে, কাকে ভোট দিলে পুলিশি হয়রানি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে, কাকে ভোট দিলে দলবাজি হবে না, তা নিয়ে চলছে বিশ্লেষণ। সব মিলিয়ে ভোটের মাঠ এবার কাউন্সিলর প্রার্থীদের।

এদিকে মেয়র পদে তালুকদার খালেকের বিপরীতে যে পাঁচ প্রার্থী রয়েছে ভোটের জরীপে তারা অনেক পিছিয়ে। জাতীয় পার্টির (জাপা) শফিকুল ইসলাম মধু। খুলনায় জাপার তেমন কোনো জনসমর্থন নেই। আবার রয়েছে দলীয় বিভক্তি।

ইসলামি আন্দোলনের প্রার্থীর মাওলানা আব্দুল আউয়াল নির্বাচনে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক প্রচার-প্রচারণা চালালেও ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন প্রচার প্রচারণা নেই বললেই চলে। বিগত নির্বাচনগুলোতে এসব দলের প্রার্থীদের অনেকে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

এবারের নির্বাচনে ৩১টি ওয়ার্ডে ২৮৯টি কেন্দ্রে পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে নারী ভোটার দুই লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন।

আগামী ১২ জুন দ্বিতীয় ধাপে কেসিসি ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে ২৮৯টি কেন্দ্র ও এক হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষের সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু ভূমি সেক্টরে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশ বাইপাস সার্জারির জন্য কৃত্রিম রক্তনালী তৈরির চেষ্টা হামাসকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরাইলি প্রস্তাব বিবেচনার আহ্বান যুক্তরাজ্যের প্রথমবারের মতো সিরি-এ ম্যাচে ছিলেন সব নারী রেফারি ফেনীতে তাপদাহে তৃষ্ণা মেটাতে শিবিরের পানি-স্যালাইন বিতরণ ২৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাংলাদেশে যাদের ইলমে দীন অর্জনের সৌভাগ্য হয়েছে, তারাই প্রকৃত ধনী ৩৩ ইসরাইলির মুক্তির বিনিময়ে গাজায় ৪০ দিনের অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব ইসরাইলের ‘টেকসই প্রস্তাব’ কী হবে হামাসের প্রতিক্রিয়া উইলিয়ামসনের নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা নিউজিল্যান্ডের

সকল