২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


রাজধানীতে কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রির উদ্যোগ বাফার

-

গরমে তৃষ্ণা মেটায় তরমুজ। বিশেষ করে এই রমজানে তরমুজের চাহিদা অনেক বেশি। রোজা শুরুর আগের দিন থেকেই অন্য সব পণ্যের মতো তরমুজের দামও বাড়িয়ে দেন বিক্রেতারা। ৯০ টাকা কেজি পর্যন্ত দাম ওঠে তরমুজের কেজি। বিভিন্ন সংস্থার অভিযান বা পদক্ষেপে দাম কিছুটা কমলেও তা চলে যায় বেশির ভাগ মানুষের নাগালের বাইরে। এমন প্রেক্ষাপটে আজ থেকে রাজধানীর ৫টি স্থানে কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ এগ্রি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফা)। রাজধানীর খামারবাড়িতে বঙ্গবন্ধু চত্বরে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন কৃষিমন্ত্রী. ড. মো: আব্দুস শহীদ।
কৃষকের পণ্য, কৃষকের দামে এই স্লোগানে বাফার ব্যবস্থাপনায় আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ৫টি স্থানে তরমুজ বিক্রি করা হবে। কৃষক সরাসরি তার উৎপাদিত তরমুজ বিক্রি করবেন এসব স্থানে। ৫টি স্থান হলো-খামারবাড়িতে বঙ্গবন্ধু চত্বর, উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের জমজম টাওয়ার, সচিবালয়ের সামনে আব্দুল গণি রোড, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন এবং পুরান ঢাকার নয়াবাজার। পরবর্তীতে এর পরিসর আরো বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি এ কে এম নাজিব উল্লাহ। তিনি এও জানান, আগামী বছর থেকে রোজার শুরু থেকেই স্বল্পমূল্যে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে।

বাংলাদেশ এগ্রি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন বলছে, কৃষকের দামে পাঁচ কেজির বেশি ওজনের একটি তরমুজ ১০০ টাকা, ৭ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১৫০ টাকা, ৯ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২০০ টাকা, ১১ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২৫০ টাকায় পিস হিসাবে বিক্রি করা হবে।
বাংলাদেশ এগ্রি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম নাজিব উল্লাহ জানান, ‘কৃষক দাম পাচ্ছে না, আবার ভোক্তা বেশি দামে কিনে খাচ্ছেন’- এ রকম খবর এখন গণমাধ্যমে নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। বিগত কয়েক দিন ধরেও আমরা গণমাধ্যমে দেখছি যে, বেগুন, লাউ, মুলাসহ বিভিন্ন শাকসবজি কৃষক ও উৎপাদক পর্যায়ে খুবই কম দামে বিক্রি হচ্ছে; বিপরীতে ঢাকায় ভোক্তাপর্যায়ে দাম অনেক বেশি। এমন পরিস্থিতিতে, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য হ্রাস, কৃষক যেন তার উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করে ন্যায্যমূল্য পায় এবং ভোক্তারাও যাতে সুলভমূল্যে পণ্য কিনতে পারেন- এই লক্ষ্যে বাংলাদেশ এগ্রি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফা) কৃষকের ক্ষেতের তরমুজ সরাসরি ভোক্তার হাতে তুলে দেয়ার এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আগামী ২৭ রমজান পর্যন্ত এই উদ্যোগটি চলবে। পরবর্তীতে বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement