১৫ মে ২০২৪, ০১ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫
`


বুড়িচংয়ে তাপদাহে বাড়ছে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগব্যাধি

বুড়িচংয়ে তাপদাহে বাড়ছে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগব্যাধি - ছবি : নয়া দিগন্ত

কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে খরতাপমাত্রার কারণে বাড়ছে বিভিন্ন রোগব্যাধি। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে শিশু ও বৃদ্ধরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

এতে ডায়রিয়া, বমি, জ্বর ও গলা ব্যথাসহ নানা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হচ্ছেন নানা বয়সী মানুষ। শিশু ও বৃদ্ধদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে বলে তারা এসব রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।

চিকিৎসকরা বলছেন, গরম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন বয়সী মানুষ।

চিকিৎসকরা জানান, গরমের এ সময়টাতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। খাদ্য তালিকায় থাকা চাই সুষম খাবারসহ পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ জাতীয় খাবার ও রসালো ফল। এ সময় সুস্থ থাকতে খেতে হবে মৌসুমি ফল, শাকসবজি ও প্রচুর পরিমাণে পানি। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগসহ বেসরকারি হাসপাতাল এবং রোগ নিরাময় কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, গরমে নানা রোগ নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসছেন নানা বয়সী মানুষ। এসব রোগের মধ্যে রয়েছে ডায়রিয়া, পানিশূন্যতা, জ্বর, ঠান্ডা, কাশি, নিউমোনিয়া, বমি, পেটব্যথা, গলাব্যথা ও এলার্জিজনিত রোগসহ নানা ধরনের সমস্যা নিয়ে। অধিকাংশ রোগীকেই চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হচ্ছে। খুব কমসংখ্যক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাজাপুর ইউনিয়নের সোহাগ মিয়া বলেন, গরমে জমিতে ধান কাটার সময় বমি শুরু হয়, সাথে পেটব্যথা। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে ভর্তি হই।

চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার বাকশীমূল ইউনিয়নের মীরপুর গ্রামের তাজুল ইসলাম বলেন, আমার সাত বছরের শিশু তাইসা গত কয়দিন ধরে পাতলা পায়খানাজনিত সমস্যায় ভুগছিল। বাড়ির পাশের ওষুধ দোকান থেকে ওষধ নিয়ে খাইয়েছিলাম। তেমন কোনো উন্নতি না দেখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসেছি। চার বছর বয়সী মায়া আক্তারের বাড়ি উপজেলার ইছাপুরা গ্রামে।

শিশুটির মা শিরিন শারমিন জানান, মায়া গত কয়েক দিন ধরে হালকা জ্বর ছিল। এরমধ্যে তার ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে। এ জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসেছি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর হোসেন মিঠু বলেন, এই গরমে অতিরিক্ত ঘামের কারণে শিশু ও বয়স্কদের পাশাপাশি সকল বয়সী মানুষের ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশি, জ্বর হতে পারে। এ ছাড়া পেট খারাপ, কলেরা, আমাশয়, ডায়রিয়, নিউমোনিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অনেক সময় অতিরিক্ত গরমের তীব্রতায় হিটস্ট্রোক হতে পারে। এক্ষেত্রে একটু পর পর পানি ও ওরস্যালাইন খাওয়া পরামর্শ দেন। প্রস্রাবের রঙ ও পরিমাণের দিকে লক্ষ রাখতে হবে। প্রস্রাবের রঙ বদলের পাশাপাশি পরিমাণ কমে গেলে পানিসহ তরলজাতীয় খাবারের পরিমাণ বাড়াতে পরামর্শ দেন।


আরো সংবাদ



premium cement