০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


করোনা আক্রান্তরা হাসপাতালেই বেশি মারা যাচ্ছেন : বাড়িতে মৃত্যু কম

-

করোনাক্রান্তরা হাসপাতালেই বেশি মারা যাচ্ছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মৃত্যুর হার বিশ্লেষণ করলে এ তথ্যটাই প্রমাণিত হয় যে, করোনাক্রান্ত মানুষ সুস্থ হওয়ার জন্য বাড়ি ছেড়ে হাসপাতালে এলেও সেখানেই তাদের মৃত্যু বেশি হচ্ছে। সে তুলনায় বাড়িতে মৃত্যু অনেক কম।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: নাসিমা সুলতানার দেয়া তথ্য অনুসারে দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে গতকাল সোমবার মারা গেছেন ৩৫ জন এবং এর বিপরীতে বাড়িতে আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে থেকে মৃত্যুবরণ করেছেন ৯ জন। এর আগে গত ৫ জুলাই (রোববার) হাসপাতালে মারা গেছেন ৪১ জন এবং বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৪ জন। অর্থাৎ, বাড়ির চেয়ে হাসপাতালে মারা গেছেন তিন গুণের সামান্য কিছু কম।
গত ৪ জুলাই হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছে ২৫ জন এবং বাড়িতে মারা গেছেন মাত্র একজন। হাসপাতালে আসার পথে মারা গেছেন ৩ জন। বাড়িতে একজন এবং রাস্তায় তিনজনসহ চারজন ধরে নিলে তা হাসপাতালে মৃত্যুবরণের চেয়ে ৬ গুণ কম মৃত্যুবরণ করেছে বাড়িতে ও রাস্তায়। গত ৩ জুলাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে ৩১ এবং বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেছে ১১ জন। ৪ জুলাই বাড়ির চেয়ে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছে প্রায় তিন গুণ।
কেন বাড়ির চেয়ে হাসপাতালে বেশি মারা যাচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা: আয়েশা আখতার বলেন, সাধারণত গুরুতর অসুস্থ রোগীগুলোকেই হাসপাতালে আনা হয় শেষ সময়ে। কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলে কিছু কিছু রোগীর শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে। আবার ষাটোর্ধ্বদের করোনাক্রান্তের সাথে অন্যান্য অসুখ যেমন কিডনি সমস্যা, হার্টে সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস থাকে। এ ধরনের কো-মরবিডিটি যাদের থাকে তাদের জটিলতা বেশি দেখা দেয়। এদের একটি অংশ হাসপাতালে আনা হলেও বাঁচানো যায় না। তবে সার্বিক মৃত্যুর হার কিন্তু তুলনামূলক কম।
হাসপাতালে মৃত্যুর ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা: মোজাহেরুল হক বলেন, করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে অনেকের লক্ষ্মণ থাকে না। অনেকেই মৃদু লক্ষ্মণ থাকে। আবার অনেকেই মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়ে থাকে। মৃদু লক্ষ্মণ বা উপসর্গ থাকলে কেউ হাসপাতালে যেতে চায় না। তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে যাচ্ছে।
অধ্যাপক মোজাহেরুল হক বলেন, আবার মাঝারি ধরনের (মডারেট) আক্রান্ত হলেও অনেকে বাড়িতেই অক্সিমিটার ও অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনে ব্যবহার করে সুস্থ হয়ে যান। যারা মারাত্মক ধরনের (সিভিয়ার) আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাদেরই হাসপাতালে যেতে হয়। তাদের উচ্চ চাপে (হাইফ্লো) অক্সিজেন দরকার হয়ে থাকে। এ ধরনের করোনা আক্রান্তরা এআরটিএস, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে থাকে। এ ধরনের রোগীদের আইসিইউ অথবা ভেন্টিলেশনে নিয়ে চিকিৎসা দিতে হয়। তাদের হার ৫ শতাংশ। এই ৫ শতাংশের মধ্যে মৃত্যুটা বেশি। করোনা আক্রান্ত অবশিষ্ট ৯৫ শতাংশের মধ্যে ৮৫ শতাংশ বাড়িতে থেকেই সুস্থ হয়ে যাচ্ছে এবং তাদের ১০ শতাংশ সুস্থ হয়ে যাচ্ছে হাসপাতালে গিয়ে। তিনি বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হয় মোট আক্রান্তের ১৫ শতাংশ এবং ১০ শতাংশ সুস্থ হয়ে যায়।


আরো সংবাদ



premium cement
জয়পুরহাটে আবু সালাম হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড উগান্ডার বিশ্বকাপ দলে ৪৩ বছর বয়সী ক্রিকেটার রাফায় অভিযান নিয়ে নেতানিয়াহুকে আবারো সতর্ক করলেন বাইডেন ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়লে হাসপাতাল খালি রাখার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ইসরাইল ও হামাসকে যুদ্ধবিরতির জন্য ‘আরো প্রচেষ্টা চালাতে’ জাতিসঙ্ঘ প্রধানের আহ্বান পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ নিয়ে সিদ্ধান্ত ১০ জুন সখীপুরে চেতনানাশক স্প্রে করে ব্যবসায়ীর বাড়িতে চুরি ফতুল্লায় হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার প্রধানমন্ত্রীর সাথে আইওএম মহাপরিচালকের সাক্ষাৎ নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীরা প্রভাব বিস্তার করলে ব্যবস্থা : সিইসি রাফা ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নিলো ইসরাইলি বাহিনী

সকল