১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীরা প্রভাব বিস্তার করলে ব্যবস্থা : সিইসি

- ছবি - ইন্টারনেট

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন না। তবু কোনো মন্ত্রী ও এমপি (সংসদ সদস্য) ভোটে প্রভাব বিস্তার করেন কি না, তা কেন্দ্রীয়ভাবে নজরদারি করা হবে। নির্বাচন প্রভাবিত করতে চাইলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের অংশগ্রহণের কারণে কমিশন বেকায়দায় নেই। প্রথম দফায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে। কেউ প্রভাবিত করার চেষ্টা করলে, মেনে নেয়া হবে না। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে, প্রভাব বিস্তার রোধে কাজ করছে কমিশন। কেন্দ্রীয়ভাবে উপজেলা নির্বাচন মনিটর করা হবে। প্রভাব বিস্তারের সমস্যাটি বড় বিষয় হয়ে দাঁড়াবে না।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের দলীয় সিদ্ধান্ত না মানার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো দায় নেই। পুরোটাই রাজনৈতিক নৈতিকতার বিষয়।

সিইসি আরো বলেন, প্রার্থী-সমথর্ক সবাই ভোটের দিন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করবেন সেটাই প্রত্যাশা, পাশাপাশি নজরদারি করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যম। সবার সহযোগিতায় সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেটাই চায় কমিশন।

তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন মোটেই নিয়ম রক্ষার ভোট না। নির্বাচন অনিবার্যভাবে প্রয়োজন। কোনো একটা দেশের শাসনব্যবস্থাকে চালু রাখতে হলে নির্বাচন প্রয়োজন।

উপজেলা নির্বাচনে অনেক রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে হাবিবুল আউয়াল বলেন, এবারের নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হচ্ছে না। কে কোন দল করেন, কে কোন দলের প্রার্থী, নির্বাচন কমিশন তা দেখে না। নির্বাচন কমিশন দেখে প্রার্থী। কে নির্বাচনে এলো, কে এলো না, তা দেখা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নয়। এবারের নির্বাচনে প্রতিটি উপজেলায় গড়ে চারজন প্রার্থী অংশগ্রহণ করছেন। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে, প্রার্থী আছেন কি না।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনে কে এলো, কে এলো না এটা নির্বাচন কমিশনের দেখার বিষয় না। নির্বাচনের কমিশনের কাজ হলো নির্বাচন আয়োজন করা।

৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সাথে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের কেমন পার্থক্য দেখেন- এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, একটা জাতীয় সংসদ নির্বাচন, আরেকটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এটাই পার্থক্য। তবে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রতিযোগিতা বেশি। উৎসাহ, উদ্দীপনা ও উত্তেজনা বেশি। সে উত্তেজনা যাতে সহিংসতায় রূপ না নেয়, নির্বাচন কমিশন সে বিষয়ে সতর্ক আছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৭ জন সদস্য থাকবেন। স্পর্শকাতর কেন্দ্রে থাকবেন ১৯ জন। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে তিনি সবার সহযোগিতা চান।

তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব মো: জাহাংগীর আলম ও অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement
আশুলিয়ায় নিবন্ধন না থাকায় ২টি হাসপাতাল সিলগালা সরকারের ইচ্ছের অভাবে উচ্চ শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে স্বদেশী ভাষা চালু হয়নি এমপির প্রভাব ও নিরাপত্তার স্বার্থে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যানদের আয় বেড়েছে প্রায় ৫৫০ শতাংশ : টিআইবি জৈন্তাপুরে প্রার্থীদের প্রচারণা তুঙ্গে থাকলেও ভোটে আগ্রহ নেই ভোটারদের সিংগাইরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মুদি দোকানির মৃত্যু দেশটা মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে : মির্জা ফখরুল আইপিএলে প্লে-অফের ৪ দল নিশ্চিত, কে কার বিরুদ্ধে খেলবে? বিচারের আগে ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ নয় : আইজিপি ভালুকায় কারখানা শ্রমিদের মহাসড়ক অবরোধ উলামাদের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে : রফিকুল ইসলাম খান

সকল